শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১৯ হোটেল, জানেন না কর্তৃপক্ষ!

নিজামুল হক বিপুল

করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ছয়টি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ ১৯টি হোটেলকে নির্বাচিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলোর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না। আমাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি আমাদের হোটেলকে মনোনীত করা হয়েছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হোটেলগুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকছেন। যখন তাকে বলা হলো, এখন পর্যন্ত হোটেল কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে কিছু জানে না। তখন তিনি বলেন, তাই নাকি? আমাকে তো স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) জানিয়েছে হোটেলগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আপনি জানিয়ে ভালো করেছেন। আমি এখনই বিষয়টি দেখছি। এটি সমন্বয়হীনতা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি দেখছি। 

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর রাজধানী ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মহাখালী শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, উত্তরা কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, লালকুঠি বাজার মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বাবুবাজার মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করে দিয়েছে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা ও খাওয়ার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর ১৯টি হোটেলকে নির্বাচিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এসব হোটেলের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, হোটেল অবকাশ, লা-মেরিডিয়ান, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, হোটেল জাকারিয়া, প্যাসিফিক লেক ভিউ, হোটেল রেনেসাঁ, হোটেল ম্যাপেলিপ, হোটেল মিলিনা, হোটেল গ্র্যান্ড প্রিন্স, হোটেল শ্যামলী, ড্রিমল্যান্ড, রাজমণি ঈশা খাঁ, হোটেল ৭১, হোটেল ফার্স, সাগরিকা, সালিমার ও হোটেল গ্র্যান্ড মার্কেল ইন। কিন্তু এসব হোটেলের মধ্যে শুধু পর্যটন করপোরেশনের হোটেল অবকাশ ছাড়া আর কোথাও এখন পর্যন্ত চিকিৎসক বা নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা উঠতে পারেননি। হোটেল রিজেন্সির পরিচালক আরিফ মোতাহার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনো ফরমাল চিঠি পাইনি। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার যখনই চাইবে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। হোটেল লা-মেরিডিয়ানের জনসংযোগ কর্মকর্তা নওশীন রহমান গতকাল বলেন, আমরাও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না।

সর্বশেষ খবর