আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা সংকটের মুহূর্তে জাতি হিসেবে বিভক্তি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। এ সময় বিভাজনের অনিবার্য পরিণতি ভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ। আমরা জেনেশুনে যেন এরকম মারাত্মক ভুলের ফাঁদে পা না দিই। গতকাল সংসদ ভবনের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বের ২১০টি দেশ আজ আক্রান্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা ৭৪তম। করোনা সংক্রমণে ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় আমরা এখনো ভালো অবস্থানে রয়েছি। এ লড়াই আমাদের সবার বাঁচার লড়াই। এ লড়াইয়ে নিজে বাঁচতে হবে এবং অপরকেও বাঁচাতে হবে। পরস্পর পরস্পরকে সুরক্ষা না দিলে আমাদের নিজেদের সুরক্ষাই হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় আমাদের ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, ঘরে থাকি ইনশা আল্লাহ জয় হবেই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডা. মঈনের মৃত্যু নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, করোনায় সিলেটের মেধাবী চিকিৎসক ডা. মঈনের অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডাক্তার মঈনের মৃত্যু নিয়ে অহেতুক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। বক্তব্যের শুরুতেই মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকার গঠন করা হয়। সেদিনই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। আজকে বিশ্বব্যাপী মহাদুর্যোগ করোনাভাইরাসের কারণে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করতে না পারলেও আমাদের চেতনায় বিশ্বাসে এ ঐতিহাসিক দিনটির তাৎপর্য চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠন করে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। দলীয় পরিচয়েও কেউ ত্রাণ নিয়ে নয়ছয় করলে ছাড় দেওয়া হবে না।