বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ফেনী, জামালপুর, বগুড়া, পাবনা, পটুয়াখালী ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। এর মধ্যে কেউ হাসপাতালে, আবার কেউ নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। তাদের বাড়িঘরসহ এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। মৃত কয়েকজনের করোনা নেগেটিভ আসায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর  মধ্যে অনেকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পশ্চিমপাড়ায় নৈশপ্রহরী আবদুর রহিম ও আশাশুনি উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের কলেজশিক্ষক রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়। তারা বেশ কয়েকদিন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। দুজনেরই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনার লক্ষণ নিয়ে জেলায় এক দিনে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শওকত জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাদের দুজনেরই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে নামাজে জানাজা শেষে কলেজশিক্ষক রেজাউল করিমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। কলেজশিক্ষকের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, মৃত নৈশপ্রহরীর বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা : করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে খুলনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে রূপসার রাজাপুর এলাকার নুরুজ্জামান খানকে (৪৩) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়। স্বজনরা জানান, পাঁচ দিন ধরে তিনি জ্বর-সর্দি, কাশি-শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে গতকাল ভোরে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর লবণচরার বাসিন্দা ফেরদৌসি আরা (৭০) মারা যান। তার শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৪ এপ্রিল থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

বরিশাল : শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল আলম (৫৮) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালসূত্র জানান, মৃত রাশেদুল আলম ভোলার দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। হৃদরোগের কথা বলে গত রবিবার সকালে তিনি শেবাচিম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার হৃদরোগ পাওয়া যায়নি। করোনার উপসর্গ থাকায় ওইদিন দুপুরে তাকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাদিম মোল্লা (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহব্বত আলী গোলদার বলেন, নাদিম মোল্লা কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছেন। সোমবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সে সময় পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য জানান, মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ এবং পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের বাড়ির লোকদের তাদের সংস্পর্শে না যেতে বলা হয়েছে। বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, এর আগে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে তিন নারীর করোনা নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তাদের শরীরের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বাকি দুজনের নমুনা রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।

ফেনী : ফেনীর দাগনভূঞায় জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত বজলুর রহমান নিজ বাড়ির মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, মৃত ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য গতকাল সকালে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে তার বাড়িসহ আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় লাশ দাফন করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোবায়েত বলেন, মৃত ব্যক্তি কিছুদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। তাই করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে, ফেনীর সোনাগাজীতে নতুন করে একজনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর তার বাসা সোনাগাজী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চরচান্দিয়া এলাকার মিজান ম্যানশন ও তিনি যে ক্লিনিকে কাজ করতেন তা লকডাউন করেছে প্রশাসন। ক্লিনিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ফেনীতে করোনা পজিটিভ রোগী দুজন শনাক্ত হলো।

জামালপুর : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ময়মনসিংহে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি মারা যান। ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি বায়িং হাউসে কমরত ছিলেন।

জামালপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুজ্জামান জানান, ১০ এপ্রিল ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঠোটাপাড়ায় আসেন। বাড়ি আসার পর তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ১৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। ১৫ এপ্রিল নমুনা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিন রাতেই তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আনা হয়। কিন্তু তীব্র শ্বাসকষ্টসহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই রাতেই তাকে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি মারা যান। ওই ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর একই হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তার স্ত্রী ও স্বজনদের জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির লাশ ময়মনসিংহে দাফন করা হবে। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবার লাশ নিতে চাইলে ময়মনসিংহে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তারা লাশ দেওয়ানগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে জামালপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ দাফনে তার পরিবারকে সহযোগিতা করবে।

বগুড়া : গতকাল দুপুরে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে থাকা ২৮ বছর বয়সী এক যুবক মারা গেছেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকায়। ওই যুবক শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় চটপটি বিক্রেতা ছিলেন। ১৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ১৭ এপ্রিল প্রথমে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে সেখান থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে সেই যুবকের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ এপ্রিল ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। স্বজনদের কাছে শুনেছি যুবকটি শহরের সাতমাথায় চটপটি বিক্রি করতেন। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় সংক্রামক রোগের বিধি অনুযায়ী তার লাশ দাফন করা হবে।

পাবনা : গতকাল সকালে পাবনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি মৎস্য আড়তদার আসলাম হোসেন (৬০) পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরের বাসিন্দা। করোনা উপসর্গের কারণে উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ি ৫ এপ্রিল লকডাউন করে তার নমুনা নিয়ে শনাক্তকরণের জন্য রাজশাহী পাঠায়। পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ১১ এপ্রিল তার বাড়ি লকডাউন তুলে নেয় প্রশাসন। এ তথ্য জানান পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।

এলাকাবাসী আমিনুল হক জানান, করোনা উপসর্গ থাকলেও তার পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসে রাজশাহী থেকে। তবে স্থানীয় লোকজন রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ করছেন। করোনা আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। পরিবার থেকে যা আমরা জানতে পেরেছি, তা হলো মৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা, হার্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থেকে ১০ দিন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

তবে মৃতের পরিবার জানায়, স্থানীয় প্রশাসন তাদের বাড়ি লকডাউন করে। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীরাও বিরূপ আচরণ শুরু করেন। কিন্তু বারবার সহযোগিতা চেয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তা পাননি। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, তিনি করোনায় মারা যাননি।

পটুয়াখালী : গতকাল সকালে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি এক রোগী মারা যান। মৃত আনোয়ার তালুকদার (৬০) সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের সেহাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন জানান, সকালে জ¦র ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আনোয়ার তালুকদার জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। কভিড-১৯ প্রটোকল মেনেই তার লাশ দাফন হবে।

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রমিজ উদ্দিন (৭০) মারা যান। গতকাল দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আদমজীনগর কদমতলী এলাকায় থাকতেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

সর্বশেষ খবর