শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নারী খুন টাঙ্গাইলে গৃহবধূর শরীরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট বড় কবরস্থান এলাকায় নিজ বাসায় খুন হয়েছেন জোসনা বেগম লিজা (৪২) নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে লিজার স্বামী মো. মুছা। টাঙ্গাইলে আরেক গৃহবধূর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, গত বুধবার সকালে খুন হন জোসনা বেগম লিজা। ঘটনার পর থেকেই স্বামী মো. মুছা (৫০) গাঢাকা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর লালদীঘিরপাড় এলাকা থেকে মুছাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মো. মুছা পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা জামালপাড়ার কবির শেরাংয়ের ছেলে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে গাড়িচালক। ছোট ছেলে ও মেয়ে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। এ ঘটনায় লিজার মেয়ে নিশো আক্তার বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।  

পুলিশ জানায়, ২০১০ সালে পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় রাস্তার ওপর ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন রেলওয়ে কর্মকর্তা আবদুল হাই মজুমদার। মুছা ওই মামলার আসামি। ওই মামলায় ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে  ছিলেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামিনে ছাড়া পান।

সিএমপির সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মুছা। তাকে ধরতে ছদ্মবেশে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বেশে ঘুরেছি। শেষ পর্যন্ত তাকে ধরতে পেরেছি। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তার বক্তব্য আমরা যাচাই করে জানতে পেরেছি- বুধবার সকালে স্ত্রীকে শিল দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।’

এদিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ এক স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিত নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার বড় ভাই। 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ১২ বছর আগে গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া সওদাগরপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের মোক্তার আলীর মেয়ে শান্তার বেগমের সঙ্গে। বিয়ের সময় স্বামীর দাবি অনুযায়ী তাকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকও দেন অসহায় শান্তার বাবা। বিয়ের কিছুদিন যেতেই পুনরায় যৌতুকের দাবি করেন নির্যাতিতার স্বামী। এ নিয়ে শুরু হয় সংসারে চরম অশান্তি। গত মঙ্গলবার সকালে আবারও যৌতুকের টাকা নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় পাষ- স্বামী। এতে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর