শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতালের প্রস্তুতি কাগজেই

ডাক্তার ছাড়াই আইসিইউ, বেড আছে ভেন্টিলেটর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল প্রস্তুতির কথা বলা হলেও রয়েছে শুধুই কাগজ-কলমে। কোনো হাসপাতালে ডাক্তার ছাড়াই আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেড প্রস্তুত করা হলেও নেই ভেন্টিলেটর। করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত দেশের হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পর মেলে অক্সিজেন। ঢাকার বাইরে অন্য জেলা হাসপাতালের অবস্থা আরও করুণ। সমস্যায় জর্জরিত থাকা হাসপাতালগুলোর করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি শূন্যের কোঠায়। এ ছাড়া নির্দিষ্ট ১৭ হাসপাতালে শ্বাসকষ্টসহ করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসায় ১৮৩টি ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) শয্যা আছে মাত্র ১৩৩টি। আইসিইউ পরিচালনা বা রোগীদের পরিচর্যায় নেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা নার্স। ৯০টি ভেন্টিলেটরের সঙ্গে নেই পেশেন্ট মনিটর। এমন প্রায় ১০ ধরনের অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে। এগুলো ছাড়া আইসিইউ শয্যা এবং ভেন্টিলেটর অকার্যকর। দেশের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে হাসপাতালগুলোর বেহাল অবস্থার এমন চিত্র উঠে এসেছে।

কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমেক) এক সপ্তাহ আগে করোনা পরীক্ষার মেশিন বসানো হলেও এখনো আসেননি প্রশিক্ষক। এ কারণে হয়নি কারও প্রশিক্ষণ। এ হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হলেও চালু হয়নি আইসিইউ। ফলে হাসপাতালের কাজ শুরু হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৩৬ জনকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী : সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ছাড়া আইসোলেশনের জন্য আর কোনো জায়গা এখন পর্যন্ত প্রস্তুত নয়। এ পরিস্থিতিতে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভবনটি কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালটি করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পুরো বিভাগে আইসিইউ বেড আছে মাত্র ১৬টি। আইসোলেশন বেড আছে এক হাজার ৫৯০টি।

ভোলা : নির্ধারিত সময় থেকে ৬ মাস পার হলেও চালু হয়নি নবনির্মিত ২৫০ শয্যার ভোলা সদর হাসপাতালটি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে নতুন ভবনে ১০০ বেডের করোনা ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। জনবল এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পেলেই চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।

সিলেট : এ বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমে বাড়লেও একমাত্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানেও নেই প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জাম। বিভাগের চার জেলার মধ্যে তিনটিতেই নেই কোনো আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন সুবিধা। এ পরিস্থিতিতে এখন বেসরকারি নর্থইস্ট হাসপাতালকে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চট্টগ্রাম : এ বিভাগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা চলছে মাত্র একটি ল্যাব। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ৩০ শয্যা এবং জেনারেল হাসপাতালের ১০০ শয্যায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনোটিতেই আইসিইউ সেবা নেই। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ চালু প্রক্রিয়াধীন।

রংপুর : এ বিভাগে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগ হিমশিম খেলেও তারা বলছে, জনবল, ওষুধ, নমুনা পরীক্ষার কিট, পিপিই- কোনো কিছুর সংকট নেই। তাই চিকিৎসা দিতেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সরবরাহ করা পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের মান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এদিকে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবনকে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হলেও ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেডের সংকট রয়েছে।

বরিশাল : বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নতুন স্থাপিত করোনা ওয়ার্ডে ১৮টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হলেও ভেন্টিলেটর চালু হয়নি। আইসিইউর জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি চিকিৎসক। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা চলছে কাগজে-কলমে।

ময়মনসিংহ : ৬০ শয্যার এসকে হাসপাতাল ময়মনসিংহের একমাত্র কভিড-১৯ চিকিৎসার কেন্দ্র। হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডটি জরাজীর্ণ, অপরিচ্ছন্ন। প্রতি ১১ জনের জন্য মাত্র দুটি শৌচাগার, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হাসপাতালটির আইসিইউতে যেসব চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন তাদের জন্যও নেই এন-৯৫ মাস্ক।

চুয়াডাঙ্গা : করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অধীনে ১৬৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে নেই কোনো আইসিইউ ইউনিট ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। বর্তমানে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে হাসপাতালটি সক্ষম হলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তা মোকাবিলা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান।

ফেনী : জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে জেলাটিতে নেই কোনো আইসিইিউ বা ভেন্টিলেটর সুবিধা। নেই করোনা পরীক্ষাগার। চিকিৎসকদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক বা পিপিই নেই।

রাজবাড়ী : এ জেলায় ১০০ শয্যার হাসপাতাল চলছে মাত্র ১৪ জন ডাক্তার দিয়ে। সদর হাসপাতালের আলাদা ভবনে ১০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কালুখালী উপজেলায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন।

নওগাঁ : নওগাঁয় রয়েছে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল। এখানে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার সব সরঞ্জামাদি থাকলেও করোনা চিকিৎসায় নেই লোকবল, বেড ও ভেন্টিলেটর।

জয়পুরহাট : জেলায় করোনা পরিস্থিতিতে মূল সমস্যা দেখা দিয়েছে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে। করোনা পরীক্ষার ল্যাব না থাকায় নমুনা পাঠাতে হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে তিন থেকে চার দিন। এ অবস্থায় রোগী শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি : জেলায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে সদর হাসপাতালে। ১০০ শয্যার হাসপাতালে ৫০ বেড রাখা হয়েছে করোনা চিকিৎসার জন্য । তবে নেই কোনো আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা।

গাইবান্ধা : জেলার সাত উপজেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাতটি এবং বেসরকারি ১৮টি কেন্দ্র খোলা হলেও কোথাও নেই আইসিইউ। জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

যশোর : জেলায় ২৪ ঘণ্টায় চারজনসহ মোট ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যশোর আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কেবিন ও সাধারণ মিলিয়ে মোট ৫০টি বেড নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে কোনো ভেলটিলেশন সুবিধা নেই।

দিনাজপুর : এ জেলায় চিকিৎসকরা পাননি এন-৯৫ মাস্ক। এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ১৬০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টি বেড রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে আইসিইউ সংকট রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : এ জেলায় আড়াই শ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে পূর্বের ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে। অব্যবস্থাপনা না থাকলেও এখানে রয়েছে ভেন্টিলেটরসহ জনবলের সংকট। করোনা রোগীদের একমাত্র ভরসা অক্সিজেন আর কিছু ওষুধ।

নড়াইল : এ জেলায় নেই করোনা রোগী শনাক্তের ব্যবস্থা। সদর হাসপাতালসহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা চিকিৎসার সুব্যবস্থা না থাকায় এ পর্যন্ত জেলার লোহাগড়া উপজেলায় আক্রান্ত চার চিকিৎসকসহ ৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ : করোনা আক্রান্তের হটস্পটখ্যাত নারায়ণগঞ্জে গত বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৪৯৯ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। প্রতিদিন গড়ে এখানে আক্রান্ত হচ্ছে ৬০-৭০ জন। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি। নারায়ণগঞ্জে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও করোনা ল্যাব স্থাপন করা হয়নি, নেই এন ৯৫ মাস্ক। এ ছাড়া পুরো জেলায় করোনা রোগীদের জন্য দুটি হাসপাতাল সমন্বয়ে রয়েছে মাত্র ৮০টি শয্যা। নেই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।

নোয়াখালী : জেলার আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে কভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৩টি হাসপাতালে মোট ১৬০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। আক্রান্ত ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ৩০ শয্যাবিশিষ্ট মাইজদী মা-মনি হাসপাতাল প্রস্তুতির কাজ চলছে।

মেহেরপুর : করোনা মোকাবিলার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের অধীনে ১৬৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হলেও এর বিপরীতে অক্সিজেন সেট ছাড়া কিছুই নেই। এর মধ্যে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট যুব উন্নয়নের ভবনে করা হয়েছে। যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থার কিছুই নেই। জেলা পর্যায়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও নেই আইসিইউ ইউনিট বা ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল-সংলগ্ন নবনির্মিত ৫তলা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড নামে একটি ইউনিট খোলা হয়েছে। তবে নেই আইসিইউ বেড।

নীলফামারী : এ জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। এ জন্য ১১১ জন চিকিৎসক এবং ১৭৩ জন নার্স সার্বক্ষণিক প্রস্তত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ছয় উপজেলায় সরকারিভাবে ৫৫০টি এবং বেসরকারিভাবে ৩৩টি চিকিৎসা কেন্দ্রের ৩৮০টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে।

পটুয়াখালী : করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোগীদের জরুরি সেবা দিতে ডাক্তার, নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সব ধরনের ব্যবস্থা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর : এখন পর্যন্ত এই জেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির কথা রয়েছে। প্রথম অবস্থায় ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।

পঞ্চগড় : এ জেলায় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৫টি,  যেখানে ডাক্তার রয়েছেন ৭৬ জন এবং নার্স ১৫২ জন। জরুরি ওষুধ মজুদ আছে। সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে মোট ৩০০টি বেডের মধ্যে কভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে ৩০টি বেড। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৭টি, যেখানে কভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুত বেড রয়েছে ১৪টি।

ঝিনাইদহ : করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঝিনাইদহে সদর হাসপাতালসহ ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ডাক্তার-নার্স ও হাসপাতালে কর্মরতরা ঠিকমতো উপস্থিত হচ্ছেন না। হাসপাতালে যারা দায়িত্বশীল আছেন তারা বিভিন্ন অজুহাতে হাসপাতালে ঠিকমতো আসছেন না। ফলে অধিকাংশ রোগী সেবা না পেয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছেন।

বগুড়া : করোনার শুরুতে প্রস্তুতি হিসেবে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে বিশেষায়িত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণাকালে এই হাসপাতালের অতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ছিল না। পর্যায়ক্রমে কিছু এলেও তাও পর্যাপ্ত নেই। হাসপাতালে বরাদ্দ পাওয়া পিপিইর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকার পাশাপাশি নেই এন নাইটি ফাইভ মাস্ক। নেই সেন্টার অক্সিজেন, গ্যাস অ্যানালাইজার মেশিন, ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিন। তার পরও চলছে বগুড়ার একমাত্র আইসোলেশন কেন্দ্র।

সর্বশেষ খবর