শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ছুটিতে জরুরি বিষয় শুনতে আদালত বসবে স্বল্প পরিসরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যেও স্বল্পপরিসরে আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে অতি জরুরি বিষয় নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগে শুধু চেম্বার আদালত এবং হাই কোর্টে একটি মাত্র বেঞ্চ বসবে। অন্যদিকে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সপ্তাহে দুই দিন জজ কোর্ট এবং সিএমএম/সিজিএম কোর্ট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিসে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদালত চলাকালীন কঠোর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে ওই নোটিসে।

আদালতের ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য ছুটিকালীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। তাছাড়া ছুটিকালীন হাই কোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সর্বাধিক ক্ষেত্রে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাই কোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আদালত পরিচালনার কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়মকানুনের বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ন আদালতে কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সপ্তাহে দুই দিন সীমিত আকারে জরুরি জামিন শুনানি করা যাবে। নোটিসে বলা হয়, দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন তাদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যে কোনো দুই দিন কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ছাড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিও সীমিত পরিসরে আদালত পরিচালনার বিষয়ে একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নোটিসে।

নোটিসে আরও বলা হয়, একটি মামলার জামিন শুনানিতে কেবল একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক দূরত্বের নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হলে কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। জামিন শুনানিকালে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে হাজির না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতিসহ আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত এলো।

সর্বশেষ খবর