শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বে মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ

যুক্তরাষ্ট্রেই ৫০ হাজার, পরিস্থিতির উন্নতিতে ধীরগতি

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর গতি এখনো হ্রাস পায়নি। তবে কোথাও কোথাও ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই এ সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বিবরণ অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮ লাখ। এর মধ্যে ইউরোপে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ লাখ, উত্তর আমেরিকায় ১০ লাখ, দক্ষিণ আমেরিকায় এক লাখ সাড়ে তিন হাজার, এশিয়ায় সাড়ে চার লাখ, আফ্রিকায় প্রায় ২৮ হাজার এবং ওশেনিয়ায় প্রায় আট হাজার। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯২ হাজার। এর মধ্যে ইউরোপে এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার, উত্তর আমেরিকায় ৫৪ হাজার, দক্ষিণ আমেরিকায় পাঁচ হাজার, এশিয়ায় ১৬ হাজারের বেশি, আফ্রিকায় এক হাজারের বেশি এবং ওশেনিয়ায় প্রায় ১০০।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু : যুক্তরাষ্ট্রে এখন দিনে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। যেমন গত বৃহস্পতিবারও ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিন হাজার ১৭৬ জন। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় নয় লাখে। এক হিসাবে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার যথাক্রমে চার হাজার ৫৯১ এবং তিন হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এ দুই দিনের পর সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। পরিস্থিতি নাজুক হলেও জর্জিয়া ও টেক্সাসের মতো বিভিন্ন প্রদেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এক মাস পর আশার খবর স্পেনে : গত এক মাস ধরে করোনার তা-বে নাজেহাল ইউরোপ। তবে কয়েকদিন ধরে এ মহাদেশের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপের গতি ধীর হতে শুরু করেছে। করোনার তা-বে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া স্পেনে গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। বিবিসি বলছে, স্পেনের জন্য কিছুটা আশাব্যাঞ্জক খবর; দেশটিতে গত এক মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত মৃত্যু সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩৬৭ জন; আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৪৪০। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫২৪ জনে; যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের এ দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ছয় হাজার ৭৪০ জন; মোট আক্রান্ত দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের জরুরি স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ফার্নান্দো সিমন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, প্রাণহানির এ নিম্নমুখী ধারা আগামী দিনে আরও কমে আসবে। তবে এ ধারা আমরা বিধিনিষেধ কীভাবে মেনে চলছি সেটির ওপর নির্ভর করবে।’

দেশটিতে লকডাউন শিথিল করার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা চালু করা হয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল করতে আগামী মাস থেকে লকডাউন আরও শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

উল্লেখ্য, করোনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে; দেশটিতে ৫০ হাজার ২৪৩ জনের প্রাণ কেড়েছে। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৫৪৯ জন মারা গেছেন ইতালিতে; তারপরই রয়েছে স্পেন।

করোনা যুদ্ধে জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া : করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে মাত্র আটজন এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হন, যা ছিল দেশটির জন্য কিছুটা স্বস্তির। প্রথমদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। কিন্তু সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে করোনা যুদ্ধে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দেশটির পাঁচটি রাজ্য ও অঞ্চলে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। অপরদিকে ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে নতুন করে মাত্র একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় কুইন্সল্যান্ডে দুজন এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এদিন দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন করে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি : দক্ষিণ কোরিয়ায়  কোরিয়ান সেন্টারস ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (কেসিডিসি) জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ৪০ দিনের মধ্যে প্রথমবার দেশটিতে কোনো মৃত্যু রেকর্ড হয়নি। একই সঙ্গে দেশটিতে চার দিন ধরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ছয়জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ৭০৮। অপরদিকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪০ জন। কেসিডিসি জানিয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় কেস দুই হাজারের কম। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। উল্লেখ্য, প্রথমদিকে চীনের পর করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। লোকজনও কাজে ফিরেছেন।

পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে। মৃত্যুর সংখ্যাও তেমন বাড়েনি। গত বুধবার পর্যন্ত সরকারি খাতায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ জন। পর দিন ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হন ৩২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৭৯ জন। এর মধ্যে আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সাত হাজার ৩৭ জনের। সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন চার হাজার ৬৯৫ জন। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩১ হাজার ৩১ জন। এ রাজ্যে করোনার র‌্যাপিড টেস্ট হয়েছে ২২০ জনের। এতে বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসছে।

বুধবার এসব তথ্যের পাশাপাশি সরকারি তথ্যে আরও বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে নয়টি জেলায় এখন করোনার সংক্রমণ হয়নি। এ নয়টি জেলা এখনো করোনামুক্ত। এ জেলাগুলো হলো- ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুরা, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। বাকি ১৪টি জেলার মধ্যে চারটি হলো হটস্পট জেলা। এগুলো হলো কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর চব্বিশপরগনা। বাকি ১০টি জেলার মধ্যে তিনটি জেলায় গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় করোনার কোনো সংক্রমণ ঘটেনি। এ তিনটি জেলা হলো নদীয়া, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি। আর সাতটি জেলায় এখনো কমবেশি করোনা ছড়িয়ে আছে। সাতটি জেলা এখন অবশ্য অরেঞ্জ জোনের আওতায় চলে এসেছে। সাত জেলা হলো- হুগলি, দক্ষিণ চব্বিশপরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং।

চীনের প্রতিবেশি ভিয়েতনামে কেন একজনও মারা যাননি : ভিয়েতনাম নামের যে সমাজতান্ত্রিক দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে নয় কোটির বেশি এবং চীনের সঙ্গে যাদের রয়েছে দীর্ঘ স্থল সীমান্ত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবসা-বাণিজ্য, অনেক ধরনের যোগাযোগ। তারপরেও এ দেশটিতে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল শূন্য। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৬৮। স্বাভাবিকভাবেই অনেকরই প্রশ্ন, চীনের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম কীভাবে নিজেকে এভাবে সুরক্ষিত রাখল? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভিয়েতনামের এ সাফল্যে বিস্মিত। তারা জানতে চাইছেন ভিয়েতনামের এ সাফল্যের কারণ। শিখতে চাইছেন ভিয়েতনামের উদাহরণ থেকে।

ভিয়েতনামের এ সাফল্যের কারণ বোঝার চেষ্টা করেছেন দুজন গবেষক লন্ডনের কিংস কলেজের পলিটিক্যাল ইকোনমির সিনিয়র লেকচারার রবিন ক্লিংগার-ভিড্রা এবং ইউনিভার্সিটি অব বাথের পিএইচডি গবেষক বা-লিন ট্রান। এই দুই গবেষক তাদের অনুসন্ধানের ফল প্রকাশ করেছেন গ্লোবাল পলিসি জার্নালে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিয়েতনাম আগে থেকেই ভালোভাবে সতর্ক ছিল। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিয়েছিল। তাদের সব বিমানবন্দরে যাত্রীদের কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু করা হয়েছিল। বিমানবন্দরে এসে নামা যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হতো এবং তাদের একটি স্বাস্থ্য-ফর্ম পূরণ করতে হতো। সেই ফর্মে যাত্রীদের উল্লেখ করতে হতো তারা কার কার সংস্পর্শে এসেছে, কোথায় কোথায় গেছেন। ভিয়েতনামে এ ধপ্রণর কঠোর ব্যবস্থা এখনো চালু আছে। ভিয়েতনামের যেকোনো বড় শহরে ঢুকতে বা সেখান থেকে বেরোতে গেলে এসব তথ্য এখনো জানাতে হয়। কোনো সরকারি দফতরে বা হাসপাতালে ঢুকতে গেলেও এসব তথ্য দিতে হয়। কারও শরীরের তাপমাত্রা যদি ৩৮ ডিগ্রি  সেলসিয়াসের ওপরে থাকে তখন তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য ফর্মে যারা ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা  নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি প্রথম থেকেই দেশজুড়ে টেস্টিং এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং (আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিল)-এর ব্যবস্থা নিয়েছিল ভিয়েতনাম। কোনো এলাকায় মাত্র একজন সংক্রমণ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

ভিয়েতনামে দ্বিতীয় যে বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল সেটা হলো- টার্গেট করে করে কঠোর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা চালু করা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে যেসব ভিযয়েতনামি নাগরিক বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাদের আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে এবং কভিড-নাইনটিনের জন্য টেস্ট করা হয়েছে। ভিয়েতনামে আসা বিদেশিদের বেলায়ও একই নীতি নেওয়া হয়। দেশের ভিতরেও একটি বড় নগরী থেকে আরেকটি বড় নগরীতে যেতে হলে সেখানে একই ধরনের কোয়ারেন্টাইনের নীতি চালু রয়েছে।

 বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে যাতায়াত এখনো খুবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। কেউ যদি কোনো শহরের স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তিনি যদি সেখানে ঢুকতে চান, তাকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে এবং সেটা হতে হবে সরকার অনুমোদিত কোনো একটি স্থাপনায়। এর খরচ তাদের নিজেকেই বহন করতে হবে।

ভিয়েনামের সাফল্যের জন্য গবেষকরা তৃতীয় যে বিষয়টির উল্লেখ করছেন, তা হচ্ছে- তাদের সফল কমিউনিকেশন। শুরু থেকেই সরকার এ ভাইরাসটি যে কত মারাত্মক সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন এবং তাদের বার্তাটি ছিল স্পষ্ট। কভিড-১৯ শুধু একটা খারাপ ধরনের ফ্লু নয়, তার চাইতেও মারাত্মক কিছু এবং জনগণকে তারা পরামর্শ দিয়েছিল কোনোভাবেই যেন তারা নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলেন। সরকার বেশ সৃজনশীল কিছু কৌশল নিয়েছিল জনগণের কাছে করোনাভাইরাসের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। প্রতিদিন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে তথ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের কাছে সব মানুষের মোবাইল ফোনে টেক্সট পাঠানো হতো করোনাভাইরাসের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে। এর পাশাপাশি সরকারি প্রচারণাও ছিল। ভিয়েতনামের সব শহরে পোস্টার লাগানো হয়েছে এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনগণকে তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে।

গবেষকরা বলছেন, ভিয়েনাম যেভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করছে তা হয়তো উদারনৈতিক রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে যায় না, কিন্তু এটি ভিয়েতনামে কাজ করছে। তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। কাজেই ভিয়েতনাম অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটা উদাহারণ হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর