বিশ্বে মহামারী করোনাভাইরাসে মৃত্যু থামছেই না। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই সংক্রমণ। এরই মধ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। গত ১৫ দিনেই বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে। যুক্তরাষ্ট্রে যে হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি কেউই বলতে পারছেন না। কাজে আসছে না কোনো পরিসংখ্যান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের তথ্য-উপাত্ত।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও আক্রান্তের সবশেষ পরিসংখ্যান রাখার আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২১০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ২ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭০ জন। আর এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮ লাখ ৪২ হাজার ৩২৫ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৭ হাজার ৬৩০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন আড়াই হাজার মানুষ মারা যান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭২ জন। অন্যদিকে করোনায় মারা গেছেন ৫৪ হাজার ৩৫৭ জন। ইতিমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৬ জন। তবে ১৫ হাজার ১১০ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩৮৪ জন। মৃতের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা স্পেনে অবশ্য ইতালির চেয়েও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯ জন। আর মারা গেছেন ২২ হাজার ৯০২ জন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে ২২ হাজার ৬১৪ জন, ব্রিটেনে ২০ হাজার ৩১৯ ও জার্মানিতে ৫ হাজার ৮০৫ মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, জাপান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। তবে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও তাইওয়ানের মতো দেশ ও অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ অনেক কম।