নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্যসেবায় গতি বাড়াতে আরও দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজারের বেশি নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর এই নিয়োগ চূড়ান্ত করতে ওই দিনই সভা করে পিএসসি। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিসিএসে অপেক্ষমাণ তালিকার চিকিৎসকদের নন-ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ করার কথা থাকলেও দুই হাজার চিকিৎসককে ক্যাডার হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে। তারা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। পিএসসির কর্মকর্তারা জানান, ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে চার হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই এই বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার আট হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। নার্স নিয়োগের দায়িত্বও এবার পিএসসিকে দিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার পিএসসির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগের একটি নিয়োগ কার্যক্রম থেকে এই নার্সদের চাকরি দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের ওই নিয়োগ পরীক্ষার পর পাঁচ হাজার ১২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন পাঁচ হাজার ৫৪ জন। সরকার যে ছয় হাজার নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র দিয়েছে তার বিপরীতে এই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, দেশে চিকিৎসকসহ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৭৮ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসক পদে রয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৯ জন। বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল, বিডিএমসির হিসাবে দেশে নিবন্ধিত নার্সের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন।