রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়া, সিলেট, ঝালকাঠি, চাঁদপুর ও দিনাজপুরে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ও প্রতিবেদকদের পাঠানো তথ্যানুসারে, বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে আবদুল হান্নান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত আবদুল হান্নান জেলার গাবতলী উপজেলার হাতীবান্ধা গ্রামের মৃত ফজেক আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তিনি প্রথমে অসুস্থ অবস্থায় শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে এক্স-রে রিপোর্টে চিকিৎসকরা তার দুই পাশে নিউমোনিয়া দেখতে পান। এরপরই তাকে রাত ১২টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে বগুড়া আইসোলেশনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হলো। করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালে চারজন ভর্তি হয়। এর মধ্যে একজনের মৃত্যুতে বর্তমানে মোট ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। জেলায় মোট ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সিলেটে করোনার উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জফেরত এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন নামের ওই পুলিশ সদস্য মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জ শিল্পপুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, সম্প্রতি তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুরে পাঠানো হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঝালকাঠির রাজাপুরে মো. হুমায়ুন কবির (৫৫) শ্বাসকষ্টে মারা যান। শুক্রবার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকার লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। হুমায়ুন কবির উপজেলার উত্তর উত্তমপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার বিকালে তার নিজ এলাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তার দাফন সম্পন্ন করে। মৃত্যুর পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের ভবেরবাজার এলাকায় এক নারী গত শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার নিজ বাড়িতে মারা যান। পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল মাফি জানান, পার্বতীপুর উপজেলার ওই নারী (৪৫) কয়েক দিন থেকেই জ্বর, সর্দি ও কাশির উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এলাকাবাসীর অনুরোধে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হলে করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই রিপোর্টের ফলাফল এলে জানা যাবে ওই নারীর করোনা ছিল কিনা। তবে তিনি আরও জানান, ওই নারী অন্য অসুখেও ভুগছিলেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা বেগম (৪০) নামের গৃহবধূ মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তার বাসা চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায়। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই রোগী শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। তখনই তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করে দেন। ভর্তির দেড় ঘণ্টার মাথায় তিনি মারা যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর