সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মুক্ত ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্ত ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতর থেকে অনলাইনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবির খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করছি। একই সঙ্গে অনেক সাংবাদিক বন্ধু আছেন, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করছি।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ ও মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃৃতি ঘটেছে। ২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১ হাজার ২০৮টি।’ তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল ২টি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ৪টি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ১০টি আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না। এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেওয়া আছে, এর মধ্যে অনেক সম্প্রচারে আছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যানই বলে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সে কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। রিজভীর বক্তব্য উদ্্ভ্রান্তের প্রলাপ : বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক এক মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রিজভী আহমেদের বক্তব্য গতকাল দেখেছি। রিজভী আহমেদ অসুস্থ ছিলেন। তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন। এ জন্য আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, এগুলো আমার কাছে উদ্্ভ্রান্তের প্রলাপের মতো মনে হয়। এই মহাদুর্যোগের সময় আসলে রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন এবং বিষোদ্্গার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।’

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা যা-ই বলুন না কেন, আজকে এই বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিতে, এই মহাদুর্যোগের সময়, এই মহামারীর সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করছেন, সেটি আজকে বিশ্ব সম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ফোর্বস ম্যাগাজিন, এমনকি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তার এই নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। বিএনপি নেতারা প্রশংসা করার সংস্কৃতিটা লালন করে না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সর্বশেষ খবর