মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

লকডাউন খুলতে যা করছে বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রে ধাপে ধাপে, ১১ মে খুলছে ফ্রান্স, ধীরে সচল হচ্ছে চীন, ইরানে খুলছে সরকারি অফিস, জার্মানি ডেনমার্কেও শিথিল হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে প্রায় দুই মাসের লকডাউন শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে বিশ্ব। তবে লকডাউন খোলার আগে কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে দেশগুলো। বিভিন্ন দেশে ডজনখানেক করে শর্ত আরোপিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে করা হয়েছে কঠোর আইন। নির্দেশনা অমান্যে রাখা হয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করতে হলে দেশগুলোর চালক ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দেশগুলোর বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু হতে যাচ্ছে। এসব দেশে মানুষজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্যই বাসার বাইরে বের হওয়ার কারণ জানাতে হবে। পারিবারিক বড় অনুষ্ঠান অথবা পুনর্মিলনী করা যাবে না। দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চালানো হবে।

এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করেছে এবং করতে যাচ্ছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। বড় দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি পুরোপুরি না হলেও এগুলোর অঙ্গরাজ্যগুলোয় অর্থনীতি সচল রাখতে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইতালি, ফ্রান্স, ইরান, স্পেন, জার্মানি, ডেনমার্ক, সৌদি আরবে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে আর যুক্তরাষ্ট্র্র ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও লকডাউন শিথিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সে আগামী ১১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা হলেও রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনই খুলছে না। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও কখনো কখনো তা বাড়ছে আবার কমছে। ১১ মে লকডাউন শিথিল করা হলেও চালক ও যাত্রীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এজন্য সরকারিভাবে মাস্ক বিতরণ করা হবে।

এরই মধ্যে করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত ইতালি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। করোনার তা-ব দুর্বল হতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে ইতালি সরকার। এর ফলে দেশটিতে বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু হবে। এতে লকডাউন পার করে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করবে ইতালি। তবে লকডাউন শিথিল হলেও রোগীদের বাঁচানোর লড়াই জারি রয়েছে দেশটিতে। কয়েক দিন ধরেই ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের হারও কমেছে। বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। এর ফলে পুনরায় ইতালিতে শুরু হতে যাচ্ছে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান। এ ছাড়া বার, রেস্তোরাঁ, খুচরা ও পাইকারি দোকানপাট, স্টেশনারি, বইয়ের দোকান, বাচ্চাদের কাপড়ের দোকান, কম্পিউটার ও কাগজপত্র তৈরির কাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছে ইতালি সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ মে থেকে বাণিজ্যিক কিছু অংশ, প্রদর্শনী, জাদুঘর, প্রশিক্ষণ টিম, ক্রীড়া ক্ষেত্র ও গ্রন্থাগার খোলার ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ জুন থেকে রেস্তোরাঁ, বার, সেলুন, ম্যাসাজ সেন্টার খোলা হবে। আর ইতালির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে খোলার কথা রয়েছে। তবে লকডাউন শিথিল করা হলেও কভিড-১৯-এর প্রকোপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সবাইকে গণপরিবহনসহ বাসার বাইরে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্যই বাসার বাইরে বের হওয়ার কারণ জানাতে হবে। ১৮ বছরের নিচের বয়সীরা লিগ্যাল গার্ডিয়ানের সঙ্গে বের হওয়ার সুযোগ পাবে। পারিবারিক বড় অনুষ্ঠান অথবা পুনর্মিলনী করা যাবে না। খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা, চিকিৎসকের কাছে ও ফার্মেসিতে যাওয়া যাবে। নিজ এলাকার লেক, সমুদ্রসৈকত ও পর্বতমালায় ভ্রমণ এবং নিজস্ব এলাকায় হাঁটা, দৌড়ানো ও সাইক্লিংয়ের অনুমতি আছে। তবে একত্রে বেশি লোকের সমাগম করা যাবে না। সবাইকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।

সীমিত আকারে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য লকডাউন উঠিয়ে নিতে পারবে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাপ ঘোষণা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী প্রায় ৩০টি অঙ্গরাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বিগত কয়েক দিনে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার দাবিতে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেগুলোতেও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এপ্রিলের শেষে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ স্কুল-কলেজ, পার্ক খুলে দেওয়ার পক্ষে কথাও বলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে অর্থনীতি বন্ধ থাকায় দেশটিতে বাড়ছে বেকারত্বের হার। মিশিগানের পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ডেলাওয়ার, ফ্লোরিডা, ইলিনয়, নিউজার্সি, মেক্সিকো, নিউইয়র্ক, টেনেসি, ওয়াশিংটনেও লকডাউন তুলে নিতে বিক্ষোভ হয়েছে। টেক্সাসের পাশাপাশি লকডাউন শিথিলে এগিয়ে রয়েছে জর্জিয়াও। গত সপ্তাহে সেখানে আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নিউজার্সিও লকডাউন কিছুটা শিথিল করে জনগণকে বাইরে বের হতে দিয়েছে। অর্থাৎ অর্থনীতি সচলের চাপের মধ্যে সংক্রমণ অনিয়ন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও লকডাউন শিথিলের দিকে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বহু রাজ্য।

চীনের উহান থেকেই শুরু করোনাভাইরাসের। দুই মাসের বেশি সময় অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল উহানবাসী। অবশেষে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে কয়েক দিন আগে লকডাউন উঠেছে। ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে পুরো এলাকা। জানুয়ারি থেকে গড়ে প্রতিদিন যেখানে হাজারখানেক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতো, সেটা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। লকডাউন উঠে যাওয়ায় উহানের রাস্তায় আবার লোকজনের চলাচল শুরু হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে যানবাহন। কলকারখানা, দোকানপাট, রেস্তোরাঁগুলো খুলতে শুরু করেছে। মিলেছে অন্যান্য শহর থেকে উহানে আসা-যাওয়ার অনুমতি। তবে তা কেবল কয়েকটি নিয়ম মেনে। যেমন চেক পয়েন্টগুলোয় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। চীনের কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বার ও রেস্তোরাঁগুলোর টেবিলগুলো কমপক্ষে এক মিটার দূরে স্থাপন ও জীবাণুমুক্ত করার নিয়ম মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারি করা লকডাউন শিথিল করা হয়েছে অস্ট্রিয়ায়। তবে তা কেবল সম্ভব সরকারের দেওয়া কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে। দেশটির প্রতিটি নাগরিককে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার এবং গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। দোকানপাট খুলেছে, তাতে বেঁধে দেওয়া হয় সময়সূচি। প্রাথমিকভাবে ৪০০ মিটারের কম আয়তনের দোকানগুলো খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। যদিও অস্ট্রিয়ায় মানুষজনকে এখনো কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে দেশটিতে পুরো লকডাউন শিথিল করা হবে বলেও অস্ট্রিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মে মাসের শুরুতে বড় দোকান, শপিং সেন্টার, পারলার ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়ার চিন্তা করছে দেশটির সরকার।

৪ এপ্রিল থেকেই ইরানের অধিকাংশ সরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়। রাজধানী শহর তেহরানের বাইরে সব সরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ। ইরান সরকার বাকিদের ‘ওয়ার্ক অ্যাট হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেয়। তেহরানে যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোও দ্রুত খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তার জন্য সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করিয়ে সামাজিক দূরত্বের শর্ত মেনে চলতে হবে। ভবিষ্যতে তেহরানের সরকারি অফিসগুলোও দুই-তৃতীয়াংশ কর্মী নিয়ে খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান সরকার। দেশে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিলেও পুরোপুরি লকডাউনে রাজি নয় ইরান প্রশাসন। করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় ইউরোপে দ্বিতীয় অবস্থানে স্পেন। সেখানে জারি করা হয় ‘স্টেট অব অ্যালার্ট’। সম্প্রতি মৃত্যুর হার কমে আসায় এক মাসের বেশি সময় পর লকডাউন শিথিল করেছে স্পেন। খুলে দেওয়া হয়েছে রাস্তাঘাট, শিল্পকারখানাগুলো। উৎপাদন, নির্মাণসহ কয়েকটি সেবা খাতের সঙ্গে জড়িতদের কাজে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দোকানপাট, বার, রেস্তোরাঁসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার। কৃষি সংকট মোকাবিলায় নতুন ফসল তোলা ও নতুন ফসল বোনার জন্য কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসীকে কাজের নিশ্চয়তা দিচ্ছে স্পেন সরকার।

করোনা লড়াইয়ে কিছুটা ধাক্কা খেলেও অনেকটা সামলে নিয়েছে ভারত। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে ভারত সরকার বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন শিথিল করছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজ্যে তা শিথিল করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে ‘গ্রিন’ ও ‘অরেঞ্জ’ জোন হিসেবে এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব রাজ্যের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকা। তবে দিল্লি, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে শিথিল করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন শিথিল হওয়া জেলাগুলোয় কৃষি ও শিল্প শ্রমিকরা এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন। সেজন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক, এটিএম বুথ, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মেসি ও সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এ ছাড়া নিজ কর্মসংস্থান যেমন প্লাস্টিক শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, কাঠমিস্ত্রিরা তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। ভারতের সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল এনডিটিভি বলছে, ‘নন হটস্পট’ অঞ্চলগুলোয় লকডাউনের নিয়ম শিথিল হয়েছে। তবে ভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরতে পারবেন না। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। ওই শ্রমিকরা যে রাজ্যে আছেন, সে রাজ্যে নিজের নাম নথিভুক্ত করে কাজ করতে পারবেন। নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের কাজ দেওয়া হবে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো লকডাউন প্রত্যাহারের পথে হাঁটছে জার্মানিও। সম্প্রতি দেশটি লকডাউনের কিছু নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করেছে। ফলে পুনরায় কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকান চালু হতে যাচ্ছে। মাত্র চার সপ্তাহ পর লকডাউন তুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশটিতে। জার্মান সরকার সর্বোচ্চ ৮০০ মিটার আয়তনের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কড়া নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে যত আয়তনেরই হোক, বইয়ের দোকান, গাড়ি ও মোটরসাইকেল মেরামতের সব দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া জার্মানির বেশ কিছু অঞ্চলে চিড়িয়াখানাও পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা-সমালোচনা যা-ই হোক, লকডাউন তুলে নেওয়ায় প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধান বহাল ছিল ৩ মে পর্যন্ত।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ডেনমার্কও লকডাউনের কঠোরতা শিথিল করতে যাচ্ছে। লকডাউন শিথিলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রেস্তোরাঁ, স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টার, জিম ও জেন্স বা ওমেন্স পারলারগুলো খুলে দিয়েছে ডেনমার্ক। আগামীতে ধীরে ধীরে চালু করবে দেশটির সরকারি-বেসরকারি সব অফিস।

করোনাভাইরাসে প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে আসায় সৌদি আরবে চালু হয় শপিং মল। তবে ১৩ শর্তে এসব বিপণিবিতান খুলে দেওয়া হচ্ছে। শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রতি ফ্লোরে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি ও এসকেলেটর ব্যবহার করতে হবে। একান্তই বাধ্য হলে লিফটে সর্বোচ্চ দুজন আরোহণ করতে পারবে। শপিং মল খোলা থাকার সময় সব মলেই মেডিকেল পরীক্ষা ও জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শপিং মলের ফটক দিয়ে প্রবেশ করার স্থানেই সবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। জ্বর থাকলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রবেশের সময় দর্শনার্থীর গ্লাভস ও মাস্ক আছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে। শপিং মলের সব প্রবেশপথে পর্যাপ্তসংখ্যক সুরক্ষাকর্মী মোতায়েন করতে হবে, যারা নিশ্চিত করবেন যে সবাই মাস্ক পরে প্রবেশ করছে। শপিং মলের ভিতরে সব বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুদের খেলার স্থান বন্ধই থাকবে। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের শপিং মলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার সম্পূর্ণ শপিং মল জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যদি কারও কভিড-১৯ শনাক্ত হয় বা শনাক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে মেডিকেল আইসোলেশনের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ রাখতে হবে এবং যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে। শপিং মলের ভ্যালে সার্ভিস বন্ধ রাখতে হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর