মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০, সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ বছর ফিতরা বা সাদকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা আর সর্বোচ্চ দুই হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি। গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ ফিতরা চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় উপস্থিত আলেম-ওলামা ও ফিতরা কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয় যে ইসলামী শরিয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির, যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে  কোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২৭০ টাকা, গম দিয়ে আদায় করলে ১  কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৫০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২২০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ওই পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। ওই পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। এ জন্য স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ওই পণ্যগুলোর যে  কোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করে থাকেন। ফিতরা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. নুরুল আমীন, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। গত বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ছিল।

সর্বশেষ খবর