বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বে মৃত্যু আড়াই লাখ ছাড়াল

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে মৃত্যু আড়াই লাখ ছাড়াল

সারা বিশ্ব স্তব্ধ করে দেওয়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৮২ জনে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ জন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমিত ২২ লাখ ৮ হাজার ৬৬৬ জনের মধ্যে ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৮১ জন স্থির অবস্থায় রয়েছেন। এ ছাড়া ৪৯ হাজার ৫৮৫ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। যা মোট রোগীর সংখ্যার ২%।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন। সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৬১৩ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৯৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর এতে সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৭৯ জন। ব্রিটেনে সরকারিভাবে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৩৪ জন। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, এই সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। মৃতের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়াল যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ সংখ্যা ইতালিতে মৃত্যুর চেয়ে  বেশি। এ বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর বড় ধরনের রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর নেতাদের তুলনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন অনেক দেরিতে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে নতুন ৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৩১৩ জনে। বিভিন্ন দেশ আলাদা পদ্ধতিতে মৃত্যুর হিসাব রাখায় দেশগুলোর মধ্যে মৃতের সংখ্যার তুলনা করা কঠিন। তবে অন্য দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাজ্যে পরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলেও ইউরোপের এ দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। মৃতের সংখ্যায় সে আশঙ্কাই সত্য হলো। নতুন করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যুর হিসাবে ইতালিকে ছাড়িয়ে ইউরোপের মধ্যে সবার ওপরে উঠে এলো যুক্তরাজ্য। বিরোধী দলগুলো যুক্তরাজ্যের এ পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর  দেরিতে লকডাউন ঘোষণাকে দায়ী করছে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তে বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা এবং হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা উপকরণ দিতে গড়িমসিরও অভিযোগ করছে তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর