শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

লাশ দাফনে এলো না কেউ, ওসির হস্তক্ষেপ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের লাশ সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদের নেতৃত্বে সোনাইমুড়ীতে দাফন করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চারজন কর্মকর্তা এবং ছয়জন পুলিশ সদস্য ওই যুবকের লাশের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম তারেক। জানাজায় তারেকের মামা ছাড়া আর কোনো স্বজন অংশ নেননি। একমুঠো মাটিও তার কবরে ফেলেননি কোনো স্বজন। গতকাল ভোরে ওসি আবদুস সামাদের নেতৃত্বে লাশ দাফন করা হয়েছে। এদিকে বেগমগঞ্জের লোকজন লাশ দাফনে অনীহা প্রকাশ করলে খবর পেয়ে নোয়াখালী-১ চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের নির্দেশে পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে যায় এবং দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, ‘এমপি ইব্রাহীমের নির্দেশে আমরা বেগমগঞ্জ থেকে লাশ এনে সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নে দাফন করেছি।’ জানা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে তারেক (৩০) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেনের একটি ভাড়া বাসায় মারা যান। গতকাল সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।

তারেক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পতিশ গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী ছিলেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব আলম জানান, মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তারেকের ভাড়া বাসা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর