শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মিনহাজ-দিদারুলের জামিন মেলেনি, রিমান্ড শুনানি ছুটির পর

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ও রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। আর তাদের সাত দিনের রিমান্ড বিষয় শুনানি সাধারণ ছুটির পর পূর্ণাঙ্গ মামলার সিডিসহ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

গতকাল তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপ-পরিদর্শক জামশেদুল ইসলাম। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া তাদের সাত দিনের রিমান্ড শুনানি সাধারণ ছুটির পর পূর্ণাঙ্গ মামলার সিডিসহ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। এর আগে তাদের দুজনকে আটক করে র‌্যাব-৩। সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় রমনা থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার কার্টুনিস্ট কিশোরকে কাকরাইল ও লেখক মুশতাককে লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। এরপর তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তাদের গত বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক জামশেদুল ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা বেগম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মেদ, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সংগঠক দিদারুল ইসলাম, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, শাহেদ আলম ও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণœ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছে। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছে।

সর্বশেষ খবর