শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ওয়ালটনের ভেন্টিলেটর অনুমোদনের অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ালটনের ভেন্টিলেটর অনুমোদনের অপেক্ষায়

ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদনের অপেক্ষায় ওয়ালটনের ভেন্টিলেটর (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তাকারী যন্ত্র)। অনুমোদন পেলে এবং কোনোরকম পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে না হলে শিগগির বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করতে যাবে ওয়ালটন। ইতিমধ্যে তিনটি মডেলের ভেন্টিলেটরের ফাংশনাল প্রটোটাইপ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বময় ভেন্টিলেটরের সংকট প্রকট। যন্ত্রটির অভাবে বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থায় এ যন্ত্র তৈরিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিকের সহায়তায় ওয়ালটন ভেন্টিলেটর তৈরির উদ্যোগ নেয়। তাদের হাত ধরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ভেন্টিলেটর উৎপাদন হবে। মেডট্রনিক তাদের পিবি৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটরের নকশা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। উচ্চপ্রযুক্তির এই মেডিকেল ডিভাইসের পেটেন্ট, সফটওয়্যার, সোর্সকোডসহ যাবতীয় সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওমর ইশরাক। তিনি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইনটেল করপোরেশন ও মেডট্রনিকের চেয়ারম্যান। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মেডিকেল যন্ত্র নির্মাতা মেডট্রনিকের সহায়তা নিয়েই দেশে ভেন্টিলেটর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই বৈশ্বিক স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী দেশেই শীর্ষ ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ উদ্যোগে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ভেন্টিলেটর হবে বলে আশা করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও ভেন্টিলেটর প্রকল্পের প্রকল্পপ্রধান প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ জানান, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই জরুরি। ওয়ালটন সব সময় দেশের মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সেজন্য উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটর, পিএপিআর (পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর), অকিজেন কনসেনট্রেটর, ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, সেইফটি গগলস, প্রটেকটিভ শিল্ড, রেসপিরেটরি মাস্ক ইত্যাদি চিকিৎসা-সরঞ্জাম তৈরিতে কাজ করছে ওয়ালটন। বর্তমানে এসব চিকিৎসা-সরঞ্জামের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) এবং ডিজাইন নিয়ে কাজ চলছে। কারখানাসহ অফিস ছুটি থাকলেও এ কাজে নিয়োজিত আছেন ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক প্রকৌশলী। তারা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের জরুরি অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাযন্ত্র তৈরিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভেন্টিলেটর ঔষধ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যার মডেল ডব্লিউপিবি৫৬০। এখন তারা খুঁটিনাটি দেখে কোনো কিছু সংযোজন, সংশোধন বা কোনো ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা, তা আমাদের জানাবেন। তাদের অনুমোদন পেলে আমরা দ্রুত ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু করব বাণিজ্যিক ভিত্তিতে; যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারজাত করা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর