রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চলতি মাসের শেষে সংক্রমণ চরম পর্যায়ে যেতে পারে

আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

বিশেষ প্রতিনিধি

চলতি মাসের শেষে সংক্রমণ চরম পর্যায়ে যেতে পারে

জালালউদ্দিন খোকা

দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও আটজন। এরা সবাই পুরুষ। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪। এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৬ জন। তবে গতকাল আরও একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩১৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ২ হাজার ৪১৪ জন। এদিকে চলতি মাসের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চরম পর্যায়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা পূর্বাভাস দিয়েছেন, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে কভিড-১৯ সংক্রমণ চরম আকার ধারণ করতে পারে এবং পরবর্তী বেশ কদিন এ পরিস্থিতি স্থির থাকতে পারে। তারা প্রত্যাশা করেছেন, জুনের শেষ নাগাদ সংক্রমণের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিস (ডিজিএইচএস)-এর সাবেক মহাপরিচালক ও আট সদস্যের কমিটির একজন সদস্য ড. হোসেন বলেন, তাদের বিশ্লেষণ অনুসারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখানোর আগে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণের চরম সময় চলবে। গাণিতিক পদ্ধতি ও মহামারীবিদ্যার সূত্রের ভিত্তিতে তাদের বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, জুনের শেষের দিকে (কভিড-১৯ সংক্রমণের হার) দ্রুত কমতে থাকবে বলে আশা করা যেতে পারে। গতকাল কভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫ হাজার ২৪৭টি। আগের সংগৃহীত নমুনাসহ মোট ৫ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৯১৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথায় কোথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে সে বিষয়ে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বগুড়া : সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বগুড়ার সৈয়দ আহম্মদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ নজবুল হক (৭৪) শুক্রবার ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা বাসায় তিনি ব্রেন স্ট্রোক করলে ঢাকা মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ও স্কয়ার হাসপাতাল হয়ে তাকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর চিকিৎসক তার রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে করোনা পজিটিভ পান বলে সৈয়দ আহম্মদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুজ্জামান নিশ্চিত করেন। এরপর শুক্রবার বিকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে বগুড়ায় নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজন গৃৃহবধূ, একজন ইজিবাইক চালক, একজন ঢাকায় পুলিশের এএসআই ও একজন স-মিল কর্মচারী। এর মধ্যে প্রথম চারজনই ঢাকাফেরত। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজনের নমুনার ফল আবারও পজিটিভ এসেছে। এর একজন সারিয়াকান্দির, অন্যজন শাজাহানপুরের গল্ডগ্রামের। এ নিয়ে বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫-এ। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিলেট : জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বৃদ্ধ শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রেহান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ২৬ এপ্রিল ওই ব্যক্তি সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে পাশের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। লক্ষণ দেখে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২ মে ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ বলে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। এদিকে বিশ্বনাথ উপজেলায় ১০ বছরের এক শিশুর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগীবাজার এলাকার বাসিন্দা। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় শিশুর পিতার। এ নিয়ে বিশ্বনাথে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২-এ। আর সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন চারজন। রাজশাহী : বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭-এ দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রোগী বেড়েছে ১২ জন। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬১ জন আক্রান্ত নওগাঁয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিভাগের ১৯৭ জন কভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ১২ জন শনাক্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। মারা গেছেন দুজন। এখন ৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। বিভাগের রাজশাহী জেলায় এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫, নাটোরে ১১, জয়পুরহাটে ৪০, বগুড়ায় ৩৫, সিরাজগঞ্জে ৫ ও পাবনায় ১৩। সর্বোচ্চ ৬১ জন রোগী আছেন বিভাগের নওগাঁয়। নাটোর : নাটোরে আরও একজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাইভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১১। নাটোরের সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি নাটোর সদর হাসপাতালের একজন স্টাফ। তিনি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) কর্মরত। এ ঘটনার পর ওটি বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। এ বিভাগে দায়িত্ব পালনকারী একজন ডাক্তার, তিনজন সিস্টার ও তিনজন ওটি সহকারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাগাতিপাড়ায় এক পুলিশ সদস্যের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এএসআই পদমর্যাদার ওই পুলিশ সদস্যের নাম মামুন, তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের গালিমপুর। স্থানীয়রা জানান, চার দিন আগে মামুন ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছেন। চাঁদপুর : পাঁচ পুলিশ সদস্য, এক ইউপি সচিবসহ আরও ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন চারজন। ফরিদপুর : ফরিদপুরে পিতা ও পুত্রের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হলেন। পিতা ঢাকায় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে মেশিনম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বাবা ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ছেলে গত বৃহস্পতিবার বাবাকে নিয়ে ফরিদপুরে আসেন এবং শুক্রবার করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য দুজনই নমুনা দেন। গোপালগঞ্জ : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ছয়জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১-এ। ৭ মে ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলায় দুই নারীসহ তিনজন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় একজন, সদর উপজেলায় একজন ও মুকসুদপুরে একজন। আক্রান্তের মধ্যে চারজনই ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ এসেছেন। নীলফামারী : জেলায় দুই শিশুসহ নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন- শহরের প্রগতিপাড়ায় ৭ ও ১১ বছরের দুই শিশু, ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী গ্রামে ২২ বছরের এক গৃহবধূ, ২৪ বছরের যুবক ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা গ্রামের ৫০ বছরের এক নারী। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৪০। মাগুরা : জেলায় নতুন করে এক কৃষকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত শনাক্ত হলেন নয়জন। আক্রান্ত কৃষক হোম আইসোলেশনে আছেন। কুমিল্লা : মুরাদনগরে একই পরিবারের সাতজনসহ ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই পরিবারের সবাই মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ছাড়া লালমাই উপজেলায় দুজন শনাক্ত হয়েছেন। ৭ মে লালমাই উপজেলা থেকে সংগৃহীত দুজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল ল্যাব থেকে পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে দুজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে দুই মাস বয়সী শিশু ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। অন্যদিকে বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফনার্স ফেরদৌসী বেগম (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। নরসিংদী : মাধবদীতে এক দিনে ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জনই এক পরিবারের। বাকি দুজন পুরাতন রোগী। এক ভবনে নয়জন আক্রান্ত হওয়ায় ইউসিবি ব্যাংকসহ ওই চার তলা ভবনটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। এ নিয়ে মাধবদীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩-তে। ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে এক চিকিৎসকসহ নতুন করে আরও চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফালগুনী সাহা ও সদরের এক নার্সের আত্মীয়সহ কোটচাঁদপুর উপজেলার দুজন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ৪৭টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় আক্রান্তের মধ্যে সদরে আট, শৈলকুপায় ১০, কালীগঞ্জে নয়, কোটচাঁদপুরে আট, মহেশপুরে এক ও হরিণাকুন্ডুতে একজন। দিনাজপুর : দিনাজপুরে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দুজনই পুরুষ। তিন দিন আগে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের বিরলে এসেছেন তারা। এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন।

করোনায় জীবন গেল আরও এক পুলিশের : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ের সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের এক গর্বিত সদস্য জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালনকালে করোনাক্রান্ত (কভিড-১৯) হয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মোৎসর্গকারী এ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল জালালুদ্দিন খোকা। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, তিনি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়। তার স্ত্রীসহ তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। তার পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকে। করোনাযুদ্ধে জালালুদ্দিন খোকার মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে সহকর্মীর এমন আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গর্বিত বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, জালালুদ্দিন খোকার করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় জালালুদ্দিন খোকার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তার মৃত্যু-পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চলমান করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের সাতজন সদস্য দেশ মাতৃকার সেবা করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গ করলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর