রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সাত রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে অসন্তোষ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সাত রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে অসন্তোষ

মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকায় সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রদূতদের টুইটে দেওয়া অভিমত কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদূতদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে দায়িত্ব পালনের পরামর্শও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল গণমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও বার্তায় আবদুল মোমেন বলেন, পৃথিবীতে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে এমনভাবে বিবৃতি দিতে দেখিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি খুব খুশি হতাম এই রাষ্ট্রদূতরা যদি জটলা করে বলতেন- রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রটোকল অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন? নাকি অন্য কোনো কিছু? আবদুল মোমেন বলেন, এসব মতলব সুবিধার না। আমি আশা করব, তারা তাদের প্রটোকল মানবেন এবং তারা সেভাবেই কাজ করবেন। তারা জ্ঞানীগুণী জন। তারা জানেন, বোঝেন। তাদের এ ধরনের ব্যাপার প্রত্যাশিত নয়। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার আলাদা টুইট করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোট স্লাইটার ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন। এর আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার টুইটে লেখেন- সব জায়গায় জনস্বার্থ সুরক্ষায় অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচারের সুযোগ থাকা দরকার। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গণমাধ্যম কর্মীর কণ্ঠও যেন রোধ করা না হয়। গত বুধবার সরকার ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। গত সপ্তাহে মানবাধিকার কর্মী, কার্টুনিস্ট ও ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতরা টুইটে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর