বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যাংকের বড় শৃঙ্খলা খেলাপি ঋণ আদায়

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

ব্যাংকের বড় শৃঙ্খলা খেলাপি ঋণ আদায়

খেলাপি ঋণ আদায়কে দেশের ব্যাংকিং খাতের বড় শৃঙ্খলা হিসেবে দেখছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে এখন বড় সমস্যা হলো খেলাপি ঋণ আদায়। আগামীতে ব্যাংকিং খাতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। তারল্য সংকট বাড়বে। কারণ ঋণখেলাপিরা করোনাভাইরাসেও নতুন সুযোগ নিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় চ্যালেঞ্জ  হলেও অবশ্যই তা আদায় করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তার মতে, করোনাভাইরাস ইউরোপ-আমেরিকায় যত শক্তিশালী, এর চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশীয় চিকিৎসাবিদদের সমন্বয়ে তৈরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করা যেতে পারে। এটি না করতে পারলে অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে।

দেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বলেন, ঋণখেলাপিদের প্রতিনিধিরা আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারণ করছেন। নীতিনির্ধারণের সঙ্গে জড়িতরা খেলাপি ঋণকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তারাই আর্থিক খাতের সার্কুলার রচনা করছেন। আর্থিক খাতে খুবই খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে সরকার পরিচালনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সুচিন্তা খুবই প্রয়োজন। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, প্রকৃত অর্থে ঋণ নেওয়া কোনো খারাপ কাজ নয়। ঋণ নেওয়া তখনই খারাপ হয়ে দাঁড়ায়, যখন ঋণের অর্থ লুট হয়। যখন ব্যাংকের টাকা ব্যাংককে ফেরত দেওয়া হয় না। আর্থিক খাতের আস্থাহীনতা ও সংকট উত্তরণে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা লাগবে। শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কার্যকর সদিচ্ছা গ্রহণ করা হলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে। বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানতের টাকা ঋণের আড়ালে ডাকাতি হয়েছে। আর্থিক খাতের বড় ডাকাতগুলোকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি দিতে হবে। খারাপ কাজে শাস্তি না হলে দেশ ও আর্থিক খাতের উন্নতি হয় না। আসলে ঋণখেলাপিদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে খেলাপি কমানো যায় না। এটা প্রমাণিত সত্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর