বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ফিঙ্গারপ্রিন্টে জানা গেল লাশটি প্রকৌশলী দেলোয়ারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফিঙ্গারপ্রিন্টে জানা গেল উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর। এর আগে রাজধানীর দিয়াবাড়ী রাস্তার পাশ থেকে মাথা থেঁতলানো অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। এরপর লাশের পরিচয় জানতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে রাখেন তদন্ত কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জানা যায় লাশটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক নির্বাহী প্রকৌশলীর। তিনি হলেন- দেলোয়ার হোসেন (৫১) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ে (অঞ্চল-৭) কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল সকালে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী খোদেজা আক্তার। এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। লাশ উদ্ধারের পাঁচ ঘণ্টা আগে ওই প্রকৌশলী নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দিয়াবাড়ী থেকে লাশ উদ্ধারের পর সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। পরে মধ্যরাতে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের খবর দেন। তার বাসা রাজধানীর মিরপুরে। তবে এখনো তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আমিনুল ইসলাম জানান, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন সোমবার সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে ঢাকার মিরপুরের বাসা থেকে বের হন। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিহতের স্ত্রীর পক্ষ থেকে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯৯ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করেন। ১৯৯৯ সালের ২১ মার্চ তিনি ভোলা পৌরসভায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যোগদান করেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৭) মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা জানান, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন সোমবার অফিসে আসেননি। সর্বশেষ রবিবার তিনি অফিসে যান। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি ওই অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। সূত্র আরও জানায়, ১৯৬৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইয়ারপুর গ্রামের মো. সোলায়মানের ছেলে। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে একটি কলেজে এবং ছোট দুই ছেলে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।

 

সর্বশেষ খবর