বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ছুটি বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত, সরকারি কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ

জরুরি পরিবহন ছাড়া কোনো গাড়ি রাস্তায় নামতে পারবে না, ঈদের আগে পরে সাত দিন সর্বোচ্চ কড়াকড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছুটির মেয়াদ বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত। ছয় দিনের সাধারণ ছুটি আর আট দিনের ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এ দফায় আরও ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই আজ সপ্তম দফায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন আজই জারি করা হবে। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের পিক-এ রয়েছি। তাই চলাচলের ক্ষেত্রে ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। বিশেষ করে যানবাহনের ক্ষেত্রে। গত কদিনে যেভাবে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে এটা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হবে। জরুরি পরিবহন ছাড়া আর কোনো পরিবহন রাস্তায় নামতে পারবে না।’  আগামী ১৬ মে শেষ হচ্ছে ষষ্ঠ দফা ছুটির মেয়াদ। এরপর ১৭ থেকে ২০ মে মোট চার দিন কর্মদিবস। ২১ মে পবিত্র শবেকদরের সরকারি ছুটি। ২২ ও ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। ২৪ থেকে ২৬ মে ঈদুল ফিতরের ছুটি। আবার ২৭ ও ২৮ মে দুই দিন কর্মদিবস। এর পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। সূত্র জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরে রাখতে পারলে সংক্রমণের ঝুঁকি এবং মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমানো যাবে। সে কারণে সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করলে মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সূত্র জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এবং ৩০ মের পর করোনা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি না ঘটলে ৩১ মে থেকে সরকারি-বেসরকারি দফতর আবার পুরনো রূপে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর