শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থসহায়তা কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সব এলাকার কষ্ট দূর করাই লক্ষ্য

► প্রবাসী-বেকারদের ঋণ দিতে ২৫০০ কোটি টাকা তহবিল ► মৃত্যুর ভয়ে জীবন থেমে থাকে না ► শিথিলতার জন্য সংক্রমণ বেড়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব ► মানুষের ক্ষুধার জ্বালাটা আমরা বুঝি ► উৎপাদন প্রচুর, খাদ্যের কষ্ট হবে না ► ঈদের আগে মসজিদ মাদ্রাসায় যাবে উপহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব এলাকার কষ্ট দূর করাই লক্ষ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন - পিআইডি

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসৃজন কার্যক্রম নামে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল গণভবন থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সরাসরি আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

কর্মসূচি দুটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি এলাকার সব জায়গায় কষ্ট দূর করা। আমি সেটাই চাই। আমাদের এত মানুষ, আমরা হয়তো বেশি দিতে পারব না। কিন্তু কিঞ্চিত পরিমাণ দিতে পারি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে চিন্তা করেই আমরা পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। অন্তত খাদ্যের কষ্ট  হবে না আল্লাহর রহমতে। সেটা আমরা ব্যবস্থা করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারও কাছে যেতে হবে না, ধরনা দিতে হবে না, বলতে হবে না, কিন্তু সবার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে প্রয়োজন অনেক বেশি। মানুষের ক্ষুধার জ্বালা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ বাড়ানোর জন্য আরও ২ হাজার কোটি টাকা আমানত দেওয়া হবে। আমাদের যুবক শ্রেণি যাতে বেকার হয়ে ঘুরে না বেড়ায়, তার জন্য তারা সেখান থেকে ঋণ নিতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য ঋণ সুবিধা বাড়াতে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের আমানত বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রবাসী তারা কিন্তু আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারা যেন ঘরবাড়ি বিক্রি না করে ঋণ নিয়ে বাইরে যেতে পারে, বিদেশে যেতে পারে, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক নামে আরেকটি বিশেষ ব্যাংক আমরা প্রতিষ্ঠা করে দিই। সেই ব্যাংকেও আমরা আরও অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা দেব। এর আগে সেখানে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছি। আমরা আরও ৫০০ কোটি টাকা জমা করে দিচ্ছি। 

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে, এখন প্রবাসে কাজের পরিধি সীমিত হয়ে গেছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছে, অনেকে দেশে ফিরে আসছে। তারা আমার দেশের নাগরিক। তারা সেখানে কষ্ট করুক তা আমরা চাই না। ফিরে এসে এখানেও যাতে কিছু কাজ করে খেতে পারে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, শিল্পায়নে তারা যাতে সুযোগ পায় সে জন্য তাদের ওই ব্যাংকে আরও ৫০০ কোটি টাকা আমরা দিচ্ছি। পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আছে। সেখানে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ এই কর্মসূচি নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানেও এই ব্যবস্থা করছি।

অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারীর কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিউরক্যাশের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি এ নগদ অর্থ পাঠানো হয়। এ সহায়তার জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন সদস্য ধরা হলে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে অন্তত ২ কোটি মানুষ। একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সহায়তার জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি যখন প্রথমবার সরকারে আসি, তখন আমাদের যুবক শ্রেণির যেন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে না হয়, এ জন্য একটা বিশেষ ব্যাংক করে দিয়েছিলাম; কর্মসংস্থান ব্যাংক। সেটার কার্যক্রম এখনো আছে, তা হলো বিনা জামানতে একজন যুবক, তিনি শিক্ষিতই হোন, আর অশিক্ষিত হোন; বেকার হলেই জামানত ছাড়াই স্বল্প সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ নিয়ে নিজেরা ব্যবসা করতে পারেন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যৌথভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন। সেই সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক সৃষ্টি করেছি। এই ব্যাংকের ঋণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য সরকার বিশেষ আমানত দিচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য ১৭টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে ১৮তম প্যাকেজে সেটা হলো পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনকে আপনি ৫০০ কোটি করে সর্বমোট ২০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। সর্বমোট ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া, গণভবন প্রান্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পিএমও এবং গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বরগুনা, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ এবং লালমনিরহাটের উপকারভোগী জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

শিথিলতার জন্য সংক্রমণ বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব : করোনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিথিলতার জন্য হয়তো সংক্রমণ একটু বেড়ে গেছে। তবে আশা করি, এটাও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবুও দেশের জনগণকে বলব নিজেরা একটু সুরক্ষিত থাকুন। তিনি বলেন, এটা বলব না সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকেন। কেননা আপনাদের কিন্তু অক্সিজেন নিতে হবে, নিঃশ্বাস নিতে হবে। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় বা যখন জনসমাগমে যাবেন বা বাজারঘাটে যাবেন তখন পরবেন। যখন এমনি থাকেন তখন কিন্তু এটা পরবেন না। এটা কিন্তু অনেক সময় ভালোর চেয়ে ক্ষতিও করে। তিনি বলেন, কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে অথবা হাঁচি-কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে যেন ভাইরাসটি সংক্রমিত না হয়, দেখতে হবে। যখন অফিসে কাজকর্ম করছেন, যখন নিজে কাজকর্ম করছেন, তখন মাস্ক পরে থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন মাস্ক পরতে হবে যাতে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায়। এন-৯৫ মাস্ক কিন্তু সাধারণ মানুষের পরার জন্য নয়। এটা যারা ডাক্তার, নার্স বা কভিড রোগীর সেবা দেবেন তাদের জন্য।

ঈদের আগে মসজিদ-মাদ্রাসায় যাবে উপহার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ অন্যান্যরা আছেন। সাধারণত রমজান মাসে সবাই মসজিদে বেশি যায়। তারাবির নামাজ পড়েন, অনেকে দান করেন। এতে মসজিদের ভালো ইনকাম হয়। এখনো অনেক মসজিদ কমিটি ও বিত্তশালীরা দান করে যাচ্ছেন- এ খবর আমি জানি। তারপরও সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। আমি ইতিমধ্যে একটি তালিকা করতে বলে দিয়েছি। সব মসজিদে রমজান-ঈদ উপলক্ষে আর্থিক সহায়তা দেব। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি এলাকার সব জায়গার কষ্ট দূর করা। আমি সেটাই চাই। আমাদের এত মানুষ, আমরা হয়তো বেশি দিতে পারব না। কিন্তু কিঞ্চিত পরিমাণ দিতে পারি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে চিন্তা করেই আমরা পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি।

আরও সাত হাজার কওমি মাদ্রাসায় ঈদের আগে আর্থিক সহায়তা : আরও সাত হাজার কওমি মাদ্রাসায় ঈদের আগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক মাদ্রাসায় এতিমখানা রয়েছে। যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তারা খুব কষ্টের মধ্যে ছিল। তাদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৮৬৫টি কওমি মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় পর্যায় আরও ৭ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ঈদের আগে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্রতা থাকে না। এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় একটি অদৃশ্য শক্তির আঘাত এলো। যার ফলে সারা বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। অদৃশ্য শক্তির হঠাৎ আক্রমণে সবাই বিপর্যস্ত। আমাদের ভূখ- ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনীতি সচল রাখা উচিত। এ জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। অন্যান্য দেশে যেভাবে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছে, এর তুলনায় আমরা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।

মানুষের ক্ষুধার জ্বালাটা কিন্তু আমরা বুঝি : প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্ষুধার জ্বালা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমন একটি অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলা কিন্তু কোনো দেশই করতে পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকে আমরা দেখছি, এই করোনাভাইরাসের শক্তির কাছে সারেন্ডার করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, লাভ হয়েছে প্রকৃতির। জলবায়ুর কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। প্রকৃতি কিন্তু তার আপন গতিতে ফিরে যাচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার, এ ধরনের ঘটনা কিন্তু পৃথিবীতে আর কখনো ঘটেনি। অনেক মহামারীর কাহিনি জানি, দুর্ভিক্ষের কাহিনি জানি। কিন্তু এবারের বিষয়টা ভিন্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। অন্তত খাদ্যের কষ্ট হবে না আল্লাহর রহমতে। সেটা আমরা ব্যবস্থা করতে পারব। কিছু নগদ সাহায্য দেওয়া একান্ত অপরিহার্য। আমরা সেটুকু ব্যবস্থা করছি। সেই সঙ্গে যারা এখন বেকার আছেন, তারা কিছু কিছু কাজ করতে পারেন। যেখানে জমি-জমা আছে একটা কিছু চাষাবাদ করতে পারেন। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে একটু কাজ করেন। নিজে আর্থিকভাবে যেমন দাঁড়াতে পারবেন, দেশও সহায়তা পাবে। তিনি বলেন, একেবারে বেকার বসে না থেকে নিজেরা কিছু কিছু কাজ করলে শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে শক্তি পাবেন। আর দেশের উপকার হবে, পরিবারের উপকার হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ফসল তোলার সময় আমাদের যে সমস্যাটা ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থাটা বন্ধ ছিল। সাধারণত আমাদের এক অঞ্চলের ধান কাটতে অন্য অঞ্চল থেকে লোক আসে। তারা ধান কেটে টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু এবার এটা সীমিত ছিল। তারপর আমরা যখন উদ্যোগ নিলাম, আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিল। কিন্তু সেখানেও লোকবলের অভাব ছিল। আমি প্রথমে আমাদের ছাত্রলীগকে আহ্বান জানালাম। যে যেখানে আছি, তাদের নিজের এলাকাসহ সব জায়গায় তাদের নামতে হবে এবং ধানকাটায় কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে ধান থেকে চাল হয়। আর এ চাল থেকে কিন্তু ভাত হয়, যা আমাদের মূল খাদ্য। সেই কাজ করতে লজ্জার কিছু নেই, বরং তা গর্বের বিষয়। আমরা যা খেয়ে জীবন বাঁচাই, সেই জায়গায় শ্রম দেব না! এই দৈন্যতা যেন কারও মনে না থাকে।

এ সময় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সত্যি আমি খুবই আনন্দিত এবং সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে ছাত্রলীগ- তারা মাঠে নেমে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। আমাদের কৃষক লীগ নেমে গেছে (ধান কাটতে)। আমাদের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যেখানে ছিলেন প্রত্যেকে নেমে পড়েছেন এবং ধান কাটায় সাহায্য করেছেন। আজকে আমাদের সারা দেশের কৃষকের গোলাভরা ধান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর