শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
খোলা বন্ধে নানামুখী চ্যালেঞ্জ

৩০ মে পর্যন্ত ছুটি মসজিদে হবে ঈদ জামাত কোলাকুলি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার চলমান ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই ছুটির মধ্যে ঈদের ছুটিও রয়েছে। গতকাল এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ছুটির নতুন আদেশে ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, চলাচলে কড়াকড়ি এবং দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ জামাত করার বিষয়সহ বেশকিছু বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। এই ছুটির মধ্যে ২১ মে শবেকদর, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, এবারের ছুটির সময় জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে। এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সিদ্ধান্ত সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ সৎকার ইত্যাদি) রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়িতে থাকার নির্দেশনা আগের মতোই বহাল আছে। সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আদেশে বলা হয়েছে, ঈদের দিন নামাজের ক্ষেত্রেও বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্থাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মানতে হবে। ঈদ সামনে রেখে দোকানপাটে বেচাকেনার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দোকানপাট এবং শপিংমল বিকাল ৪টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জরুরি সেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচল অব্যাহত থাকবে। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এ ছুটির আওতায় পড়বেন না। রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

ঈদের নামাজ মসজিদে কোলাকুলি হাত না মেলানোর অনুরোধ : ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ ছুটি বাড়ানোর ও চলাচলের নিষেধাজ্ঞা নির্দেশনায় এ অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পরের হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর