শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বেই খুন হন প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। দেলোয়ারের সঙ্গে ঠিকাদারদের কোনো বিরোধ ছিল কি না এবং সেই বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে কি না- এসব প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এমনকি দেলোয়ারকে বহন করা গাড়ির চালকও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার অভিযোগ করেছেন, ঠিকাদারদের শতকোটি টাকার ফাইল আটকে রাখার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তার স্বামীকে। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেলোয়ার ছিলেন একজন সৎ কর্মকর্তা। গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে তাকে প্রায় ছয় মাস (সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি) ওএসডি করে রাখা হয়। এরপর তাকে বদলি করা হয় কোনাবাড়ী অঞ্চলে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী অঞ্চল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলের ঠিকাদারদের কাজের পাওনা শতকোটি টাকার একাধিক ফাইল আটকা রয়েছে। এসব ফাইল তদন্ত করে ঠিকাদারি কাজে গাফিলতি পেয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। ফাইলগুলো প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের টেবিলে আটকা পড়ে ছিল। ঠিকাদারদের একটি চক্র ফাইলে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তার কাছে বেশ কয়েকবার তদবির করেন। ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবও তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু দেলোয়ার কোনো অবস্থাতেই ঘুষ নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে প্রকৌশলী দেলোয়ারের সঙ্গে ঠিকাদারদের প্রকাশ্যে বিরোধ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, তারা নিহতের স্ত্রী, সন্তান ও ভাইয়ের বক্তব্য নিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর জানা যাবে কেন, কারা এবং কী কারণে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।  রাজধানীর তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন এ প্রতিবেদককে জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। জড়িতদের চিহ্নিত করতে সব দিক থেকে তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডে প্রাথমিক তদন্তে তারা তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। তারা গ্রেফতার হলেই হত্যারহস্য উদ্‌ঘাটিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর