জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে; যাতে অন্য কেউ আর ভবিষ্যতে ত্রাণ চুরি করতে সাহস না পায়।
গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার ঈদ উপহার নেতা-কর্মীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার ৩০০ নেতা-কর্মীর মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি, পিয়াজ ও সেমাই। উল্লেখ্য, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই মাস ধরে নিজ নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলীর ৫ হাজারের বেশি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। এ ছাড়া ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে হতদরিদ্র মানুষ জীবিকা হারিয়ে ত্রাণের জন্য রাস্তায় ঘুরছে। খেটে খাওয়া মানুষকে বাঁচাতে সরকারও ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু একদল অসাধু জনপ্রতিনিধি হতদরিদ্রের ত্রাণসামগ্রী চুরি করছে। তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তই যথেষ্ট নয়, ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে; যাতে অন্য কেউ আর ভবিষ্যতে ত্রাণ চুরি করতে সাহস না পায়।তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। এখন অভিযোগ উঠেছে সেই বরাদ্দ লোপাটের। সরকারের উচিত একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, সুজন দে প্রমুখ।
