বুধবার, ২০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বে আক্রান্ত ৫০ লাখ ছুঁইছুঁই

৩ লাখ ২০ হাজার মৃত

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় গত রাত ৯টার দিকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৩৯। এর মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯০। মৃত্যু হয়েছে ৯২ হাজার ১৮৮ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৭৬। তৃতীয় স্থানে থাকা ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭। চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৪২। পঞ্চম স্থানে থাকা স্পেনে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৩৯। উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৮। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যে কোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারীর ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-২০০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফসলের ওপর পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে তীব্র সমস্যার মধ্যে আছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। ৭০ বছরের মধ্যে এতটা খারাপ পরিস্থিতিতে আর পড়তে হয়নি তাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসব দেশের অন্তত ২ কোটি মানুষ প্রচ  খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে ছিল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরিচালক ডমিনিক বারজিওন বলেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে কিছু জায়গা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অভাবের মাত্রাটা এমনিতেই অনেক বেশি। এ সময়ে আরেকটি আঘাত তারা সহ্য করতে পারবে না। এ নিয়ে আমরা খুব উদ্বেগে আছি।’

সর্বশেষ খবর