শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা যখন ব্যাপকভাবে কাজ করছি, তখন আরেকটা দুর্যোগ (আম্ফান) চলে এসেছে। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এতে কারও হাত নেই। এটা আমরা ঠেকাতে পারব না। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য যতটুকু বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারি, তা আমরা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে গণভবনে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় জনগণের পাশে থাকতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা উপকূলীয় এলাকাসমূহের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রেস সচিব বলেন, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেওয়া ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার ২৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সভায় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অগ্রিম নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল এবং প্রতিটি এলাকাভিত্তিক কমিটি আছে, প্রতিটি এলাকার যারা দায়িত্বে, প্রত্যেকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সজাগ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে, যেটুকু প্রস্তুতি, তাতে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রস্তুতি আছে, বাকি আল্লাহ ভরসা। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে আমাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। বাংলাদেশে আসতে আসতে ঝড়ের শক্তি যেন কমে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাইক্লোন শেল্টারও তৈরি করা আছে। এগুলো মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার, ব্যবহার না হলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা এগুলোকে বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজে ব্যবহার করি। কিন্তু দুর্যোগ যখন আসে, তখন শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করি। সবাইকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া দফতর আধুনিক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কয়েকটি চুক্তি আমরা করেছি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি যাতে ঠিক সময়ে আমরা সঠিক তথ্যটা পাই। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সংকটে ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল-সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনে সংযুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তিন বাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আম্ফান মোকাবিলায় জনগণের পাশে থাকতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ : ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় জনগণের পাশে থাকতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়মী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা উপকূলীয় এলাকাসমূহের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার জন্য টেলিফোনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুুখ। এ সময় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপকূলের সাধারণ মানুষকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের অবস্থান নিশ্চিতকরণে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ায় উপকূলের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্যসহায়তা ও চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করব। আওয়ামী লীগ সব দুর্যোগে জনগণের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

সর্বশেষ খবর