করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপের ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ইউরোপের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ সহায়তা চান তিনি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, ভিডিও কনফারেন্সে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতের কাছে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন। ভিডিও কনফারেন্সে ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতরা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৩৩৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার কথা জানান। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অর্থ ১০৩ মিলিয়ন ইউরো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। ড. মোমেন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের বাসার জন্য ফোরজি নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়া হবে। তবে চোরাচালান, নারী-শিশু পাচার, পর্নো সিনেমা ইত্যাদি রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টুজি সেবা চালু রয়েছে। এ ছাড়া ফোরজি সেবা নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয়বহুল বলেও জানান মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন। এখানে ৩৩টি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। শত শত দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন রয়েছে, যা ইউরোপের অনেক দেশেই নেই। গণতন্ত্র বিকাশের স্বার্থে সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে বলেও জানান ড. মোমেন। ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, ইতালি, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি অংশ নেন।