শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার চাপে শহরে দারিদ্র্র্যের হার বাড়ছে দ্রুত

-ড. হোসেন জিল্লুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শহরাঞ্চলে দরিদ্র মানুষের চাপ বাড়ছে। সে তুলনায় গ্রামে দারিদ্র্যের হার সে হারে বাড়ছে না। কেননা শহরে প্রায় সব ধরনের কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে তো মানুষ কিছুটা হলেও কাজ করতে পারছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। এ জন্য নগর দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে এবং মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে সরকারের নীতি সহায়তার পাশাপাশি  আর্থিক সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে আয় কমে গেছে খেটে খাওয়া গরিব মানুষের। সরকারি সহায়তা এখনো প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। করোনায় দরিদ্র মানুষের জন্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দরকার।

এদিকে গত ১৯ মে প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ সমীক্ষায় এ রকম ফলাফল উঠে এসেছে। ওই জরিপের সূত্র ধরে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে নগর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য নতুন করে বড় কর্মসূচি নিতে হবে। এ জন্য সরকারের উচিত নগরের দারিদ্র্য নিয়ে বড় ধরনের নীতি ও আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা। এতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের মধ্যে যারা গ্রামে আছেন, তাদের ৬৭ শতাংশের নগদ ও ৭০ শতাংশের খাদ্য সহায়তা দরকার। আর শহরের বস্তিবাসীর ৭০ শতাংশের নগদ ও ৭৮ শতাংশের খাদ্য সহায়তা দরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে অতি গরিব, গরিব, গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষ এবং গরিব নয় এমন মানুষের আয় দৈনিক ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি গতকাল বলেন, এসব মানুষকে নীতি ও আর্থিক সহায়তা দিতে সরকারের বড় ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে নগরের দরিদ্র মানুষের জন্য বড় ধরনের কার্যক্রম নিতে হবে। আর গ্রামের দরিদ্র মানুষকেও নীতিগত ও আর্থিক সহাতার দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর