শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
ময়মনসিংহ

আতঙ্কে রোগী নেই হাসপাতালে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের ছয়টি ইউনিটে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার রোগী ভর্তি থাকত। এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে দুই থেকে তিনশ’তে। মেডিসিন বিভাগের মতো  প্রায় প্রতিটি বিভাগেই ভর্তিকৃত রোগীর চাপ এখন অনেক কম। শুধু ইনডোরেই নয়, বহির্বিভাগেও কমে এসেছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে রোগী আসছে পাঁচ থেকে সাত শ’। তবে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে একহাজার শয্যার হাসপতালে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকত। আর বহির্বিভাগ থেকে পাঁচ থেকে সাতশ’ রোগী চিকিৎসা নিত। তিনি আরও জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেলে ২০৬ জন চিকিৎসক রয়েছেন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে চিকিৎসকদের দায়িত্বও নতুন করে বণ্টন করা হয়েছে। সে হিসাবে তিন ভাগের এক ভাগ চিকিৎসক প্রতিদিন হাসপাতালে সেবা দেন। অপরদিকে চিকিৎসকরাও সেবা দিতে গিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন বলে একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন। এর কারণ হিসাবে তারা বলছেন, নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রী ও রোগীদের তথ্য গোপনের কারণে অনেক চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৩১ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেলের ৪৬ জন চিকিৎসক, ৫৮ জন নার্স এবং আরও ৫৯ জন অন্যান্য স্টাফ আক্রান্ত হয়েছেন। আর ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্স ও ৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাও চলছে ঢিমেতালে। অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ থাকলেই এসব হাসপাতালে ঘুরেও অন্য রোগের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অনেক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিএমএ’র ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো ময়মনসিংহ এখনো খারাপ অবস্থা হয়নি। তবে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়তে সময় লাগবে না। দ্রুতই আগাম চিন্তা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর