শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

উপসর্গ নিয়ে সারা দেশে আরও ২৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন রোগী মারা গেছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলে করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল মোট ২৪জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে দুজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ও লালমনিরহাটে একজন মারা যান। তাদের মধ্যে অনেকের করোনা পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল পাওয়ার আগেই তারা মারা গেছেন। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করাও হচ্ছে। অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে ১৭ জনের মৃত্যু : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার বিকাল ৪টা থেকে গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২ নারীসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই করোনা সন্দেহ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তারা হলেন-জরিনা (৫৯), ওমর ফারুক (৩০),  গৌরাঙ্গ (৪৫), মোকতার হোসেন (৬৫), ওয়াহিদুল হক (৭০), মো. জামাল (৫২), গণেশ চন্দ্র কর্মকার (৬৫), গিতা (৫২), কালাচান (৪৫), আবুল কালাম (৫৫), আনোয়ার হোসেন (৬০), নাজিমুদ্দিন (৫৫), মো. ফজলুল হক (৭১), শওকত (৪৮), জামাল উদ্দিন (৬০), ফারুক হোসেন (৫০) ও আব্দুর রহিম (৬৫)। জেলায় জেলায় ৪ জনের মৃত্যু : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী- চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। এর মধ্যে গতকাল ভোরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম। গতকাল সকাল ৯টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গতকাল করোনা উপসর্গ নিয়ে নতুন করে মারা গেছেন আরও তিনজন। বুধবার মারা যান চারজন। এই নিয়ে দুদিনে মারা গেলেন সাতজন। গতকাল সকালে পৌর শহরের কেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যান। তাঁর বয়স ৫৫ বছর। পরিবারের সদস্যরা জানায় এক সপ্তাহের সময় ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। করোনা সন্দেহ হলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় ভোর থেকে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে এবং সকাল ৭টার দিকে মারা যান। উপসর্গ নিয়ে ভোর ৪টায় মারা যান পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার এক বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যরা জানালেন, ১০ দিন ধরে বৃদ্ধের জ্বরের সঙ্গে সর্দি ছিল। করোনা সংক্রমণ ছিল কিনা-জানতে তাঁরও নমুনা নেওয়া হয়নি। ভোর ৩টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং এক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি মারা যান। এছাড়া সকাল ৮টার দিকে মারা যান আরও এক বৃদ্ধ। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। তিনিও পরীক্ষার বাইরে ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। গতকাল ভোরে ঢাকা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। তিনি জেলা শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪৫ বছর বয়সী এক ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১ টায় নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়। সাবেদার হোসেন নামে ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করেছেন মেডিকেল টিম। উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্না গ্রামের মৃত তফসির সরদারের ছেলে তিনি।

 

সর্বশেষ খবর