শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর আবার দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. শিহাবউদ্দিন। এপ্রিলের মাঝামাঝি আক্রান্ত হয়ে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে সুস্থ হওয়া ডা. শিহাবউদ্দিন চলতি জুন মাসে এসে আবার সংক্রমিত হলেন। ডা. শিহাবউদ্দিন এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে এর আগে এমনটা দেখা যায়নি। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, কভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবেন না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার (ইমিউনিটি) ওপর এটা অনেকটা নির্ভর করে। ভাইরাস কতটা প্রাণঘাতী হবে, সেটা ব্যক্তির ইমিউনিটির ওপর নির্ভর করে। মানুষের শরীরে যদি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়, সেটা কমবেশি যাই হোক, তাহলে এই জীবাণু অতটা বিপজ্জনক হতে পারবে না। বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সুবাস সরকার জানান, ডা. শিহাবউদ্দিন গত এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেন। তখন এক রোগীর মাধ্যমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স এবং পিয়নের শরীরে কভিড পজিটিভ আসে। এরপর পুরো হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। গত ১৮ এপ্রিল শিহাবউদ্দিনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরও বেশ কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাঁর, তিনজন নার্স, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন পিয়ন ও কজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর করোনা পজিটিভ হয়। ২৩ এপ্রিল শিহাবউদ্দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। ১০ দিন পর প্রথম এবং এর ৭২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ফলোআপ নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগেটিভ আসে। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন। ২০ মে তিনি কাজে যোগ দেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর গত ২৬ মে ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত তাঁর এক নিকটজনকে প্লাজমা দিতে যান। ঢাকা থেকে কর্মস্থলে ফেরার পর তিনি পুনরায় শরীরে করোনার উপসর্গ অনুভব করলে গত ৩১ মে আবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করান। ১ জুন পাওয়া প্রতিবেদনে পুনরায় কভিড পজিটিভ আসে।

সর্বশেষ খবর