মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনের চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

চীনের চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায়

করোনা চিকিৎসা সহায়তার জন্য গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছে চীনা বিশেষজ্ঞ দল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ একটি দল গতকাল ঢাকা এসেছে। ডা. লি ওয়েনশিউর নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, নার্সসহ সংক্রামক ব্যাধি নিরোধ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলটিকে স্বাগত জানান। সরাসরি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করার ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো সাফল্য দেখানো দলটি দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

২০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। ওই সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলার সর্বাত্মক যুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ওই সহায়তার অংশ  হিসেবে চীনের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সফরে এলেন। চীন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চীনের স্বাস্থ্য কমিশন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া ওই প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নির্বাচিত করেছে চীনের হাইনান প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কমিশন। বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থানের সময় প্রতিনিধি দলটি করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র ও পরীক্ষাগার পরিদর্শনে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেবে। পাশাপাশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিমানবন্দরে চীনের চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেন, এ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উৎসাহ পাবেন। এ ছাড়া এ দেশের রোগীরাও সাহস পাবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশকে সম্মিলিতভাবে করোনা মহামারী মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। করোনা বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটা কোনো একক দেশের পক্ষে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায়ও বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারি প্রয়োজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিষয়েও বিশেষ আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীনের সহায়তা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে ড. মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. মোমেন বলেন, ‘চীনের এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সদস্যরা আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন। প্রয়োজনবোধে তারা এ দেশের করোনা চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। এতে আমাদের রোগীরা সাহস পাবেন।’ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। করোনা রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও চীন প্রথম আবিষ্কার করে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দীন।

সর্বশেষ খবর