বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জীবন ও অর্থনীতির রক্ষাকবচ হচ্ছে এই বাজেট : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জীবন ও অর্থনীতির রক্ষাকবচ হচ্ছে এই বাজেট : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এবারের বাজেট মানুষের জীবন ও অর্থনীতির জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। আমরা এই সংকটময় মুহূর্তে এমন এক বাজেট দিতে যাচ্ছি যেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মানুষের জীবন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবেও কাজ করবে এই বাজেট। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সংকটময় অবস্থা উত্তরণে সহায়তা পদক্ষেপ হিসেবে এই প্রণোদনা প্যাকেজের মাধামে তাৎক্ষণিক করণীয়, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যার বাস্তবায়নে দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তাই এই সংকটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। বাঙালি জাতি বীরের জাতি। যুগে মুগে জাতীয় জীবনে নানা দুর্যোগ ও সঙ্কটময় মুহূর্ত এসেছে। বাঙালি জাতি সম্মিলিত শক্তিতে সেসব দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে। জাতীয় বাজেট একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরতপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ, যেটি প্রস্তুত করতে অবশ্যই অপরিহার্য কিছু সুনির্দিষ্ট ভিত্তি অনুসরণ কারতে হয় কিন্তু এখন সেগুলো পরিপূর্ণভাবে আমাদের সামনে নেই। বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এটি হয়ে পড়েছে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এরপরও যথাসম্ভব একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেটই আমরা দিচ্ছি। যেটা স্তিমিত হয়ে পড়া অর্থনীতিতে আবার চাঙ্গা করবে। ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনৈতিক কর্মকা । তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন কোরোনার কারণে সারাবিশ্বের অর্থীতিই বিপর্যস্ত। আমাদের অর্থনীতিও উলটপালট হয়ে গেছে। এটাকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। সে ব্যবস্থাই আমরা এ বাজেটে নিচ্ছি। বাজেটকে কার্যকর করতে আমরা কার্যকর নীতিও গ্রহণ করছি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন, ২০২০) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা দ্বিতীয় বাজেট। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি হবে দ্বিতীয় বাজেট।

এবারের বাজেটটি গতানুগতিক ধারার কোনো বাজেট নয়। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা থাকছে।

করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবারের অধিবেশনে মিডিয়া কভারেজের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের বাজেট ডকুমেন্টস সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিম পার্শ্ববর্তী মিডিয়া সেন্টার  থেকে সোয়া ৩ টায় বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ  থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।

সর্বশেষ খবর