বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নাসিমকে সিঙ্গাপুরে নিতে চায় পরিবার

জাফরুল্লাহর উন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরপর দুই পরীক্ষাতে করোনা নেগেটিভ এসেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের। তবে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষ হবে আগামীকাল। চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে পরিবার মোহাম্মদ নাসিমকে সিঙ্গাপুরে নিতে চায়। এ দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন নেওয়ার মাত্রা কমেছে। নাসিমের পরিবার ও মেডিকেল বোর্ড সূত্র জানায়, মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তার অবস্থা আগের মতোই সংকটাপন্ন এবং এখনো চেতনা ফিরে পাননি। নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রেখে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তা শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার। মোহাম্মদ নাসিমের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আব্বার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরও ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখবে। সেই সময় শুক্রবার শেষ হবে। এরপর হয়তো তারা আবার বোর্ড মিটিং করবে। সব কিছু দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুবার টেস্টে বাবার (নাসিমের) করোনা নেগেটিভ এসেছে। সেখান থেকে বাইরে নেওয়ার একটা চিন্তা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও ছিল। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। কিন্তু এটার এখনো কোনো ফলাফল আসেনি বলে জানান তিনি। দেশের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করে জয় আরও বলেন, এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে, তা আব্বাকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে। তাই চিকিৎসকরা যদি ছাড়পত্র দেন, আর তারা যদি মনে করেন দেশের বাইরে নেওয়া যাবে তাহলে আমরা সেটা চিন্তা করব। তার আগে সে চিন্তা করছি না। কারণ আব্বার যে অবস্থা, এর মধ্যে আম্বুলেন্সে তুলতে হবে, সেখান থেকে এয়ার আম্বুলেন্সে তুলতে হবে। আবার সাড়ে ৪ ঘণ্টার ফ্লাইট। তা ছাড়া এখানকার চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। তাই তারা সার্টিফিকেট না দিলে সিঙ্গাপুর নেওয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তা করছি না। নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, উনার অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন, অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এ দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি গতকাল জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসে নিউমোনিয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা কমেছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। এ ছাড়াও তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস এবং চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন  মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজীব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর