গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা টাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তার ফুসফুসের সংক্রমণ কমছে। এখন তার সার্বক্ষণিক অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। তবে গলায় ব্যথা থাকায় স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে কষ্ট হয়। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত অ্যান্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হচ্ছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি। তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সার্বিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তার ফুসফুসের সংক্রমণ কমছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই অক্সিজেন ছাড়া থাকছেন। তবে গলা ব্যাথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চাই। গত ৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। গত শনিবার থেকে ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। এর মধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য দেশি বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক মামুন মোস্তাফি ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।