রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চলে গেলেন নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন নাসিম

মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮-১৩ জুন ২০২০)

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের এই সাহসী নেতা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পরিসমাপ্তি ঘটল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের। 

আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানী জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে দাফন করা হবে মোহাম্মদ নাসিমকে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। তার মৃত্যু সংবাদে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছুটে যান হাসপাতালে। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সান্ত্বনা দেন তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের। শোক জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। 

শোকবাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন নির্ভীক যোদ্ধা। তিনি জনগণের প্রিয় নেতা ছিলেন। তার মৃত্যু বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মোহাম্মদ নাসিমের নাম চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির কল্যাণে মোহাম্মদ নাসিমের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মোহাম্মদ নাসিম তার পিতার মতোই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক ও গণমুখী নেতাকে হারাল এবং আমি নিজে একজন সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি।

গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিন রাতে তার করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। ৫ জুন (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৫টায় নাসিমের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হলেও মাথার ভিতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। এরপর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন। এরই মধ্যে পরপর দুবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। তবে করোনা ফলাফল নেগেটিভ এলেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। টানা আট দিন অচেতন অবস্থায় থেকে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আওয়ামী লীগের এই নেতা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রেন স্ট্রোকে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছিল। সেই সংকট আর কাটল না। থেমে গেল রাজনৈতিক অঙ্গনের এক কীর্তিমান পুরুষের পথচলা।

পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী যেভাবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করে গেছেন, তার ছেলে মোহাম্মদ নাসিমও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সামনে থেকে লড়েছেন। করোনা সংকটকালেও শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও ছুটে গেছেন তার জন্মভিটা সিরাজগঞ্জের কাজীপাড়ায়। নিজ হাতে ঘুরে ঘুরে এলাকায় কষ্টে থাকা মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন ত্রাণসামগ্রী। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনার কারণে তার মরদেহটি শেষ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না কাজীপাড়ার মানুষ। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত পিতা শহীদ জাতীয় নেতা এম মনসুর আলী ও মাতা আমেনা মনসুর। 

মোহাম্মদ নাসিম স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র। আওয়ামী লীগের রাজনীতির দুঃসময়ে তার ত্যাগ, অকুতোভয় পথ চলা স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। নিজ জেলা সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশের উন্নয়ন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। দলের প্রতি আনুগত্য এবং দেশপ্রেমের কারণে ছাত্রনেতা থেকে জননেতায় পরিণত হয়েছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। দলীয় নেতা-কর্মীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে এবং তা কখনো পূরণ হওয়ার নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা প্রয়াত নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। হাসপাতালের সামনে মরহুমের বড় ছেলে সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার প্রিয় মানুষ আমার পিতা মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার বাবা আমার দাদার (জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী) মতোই সারা জীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। বাবার মৃত্যুর পরও আমাদের পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে মানুষটি দেশের মানুষের জন্য আজীবন রাজনীতি করেছেন, সে মানুষটির মৃত্যুর পর দেশের মানুষের কোনো ক্ষতি হোক এ রকম কোনো কিছু আমরা হতে দিতে পারি না। তাই করোনা মহামারীর কারণে সিরাজগঞ্জের লাখ লাখ মানুষের চোখের জলকে উপেক্ষা করে হলেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রবিবার আব্বার জানাজা বনানীর কবরস্থান মসজিদে করা হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মন থেকে দোয়া করবেন, দূর থেকে দোয়া করবেন।’

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন : বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জাতীয় নেতা এম মনসুর আলী ও মা মোসাম্মাৎ আমেনা মনসুরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এম মনসুর আলী স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িতও¡ পালন করেন। মোহাম্মদ নাসিম জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। ১৯৬৬ সাল পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজে এইচএসসির ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। ওই সময়ে তার পিতা এম মনসুর আলীকেও গ্রেফতার করা হয়। তখন পিতা-পুত্র একসঙ্গে জেল খাটেন। সে সময়ে জেলে বসেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোহাম্মদ নাসিম। পরে মোহাম্মদ নাসিম জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মোহাম্মদ নাসিম স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। ১৯৮১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে পা রাখেন মোহাম্মদ নাসিম।  ওই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের যুববিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিমকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় আওয়ামী লীগে মাত্র একটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ ছিল। ২০০২ ও ২০০৮ সালের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। এরপর ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সবোর্চ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়। এরপর টানা তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে মৃত্যু পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর সামরিক ও খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। এ কারণে রাজপথে তাকে বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়, কারাগারেও যেতে হয় বারবার। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। তখন তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপের দায়িত্ব পান। তখন তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। ১৯৯১ সালের সংসদে বিরোধী দলের প্রধান হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এলে মোহাম্মদ নাসিমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের বছরের মার্চে তাকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে মোহাম্মদ নাসিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

ওয়ান ইলেভেনের সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথমেই রাজপথের সাহসী যোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করে। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেই তাকে গ্রেফতার করে এবং তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকেন। ১/১১ এর সময় কারাগারে থাকাকালে প্রথম দফায় তিনি স্ট্রোক করেন এবং শরীরের বাম পাশ অবশ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচন করতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম। তার আসনে বিজয়ী হন তার বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয়। তবে পরের দুই সংসদে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে তিনি পরপর দুবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সংসদের বর্তমান মেয়াদে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছাড়াও মোহাম্মদ নাসিম নির্বাচনী জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

বিভিন্ন মহলের শোক : মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এস এ মালেক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গভীর শোক জানিয়েছেন।

এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ। আরও শোক জানিয়েছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির ব্যারিস্টার আরশ আলী, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার মজুমদার টিপুসহ অজস্র রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা।

এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, মহিলা লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু এবং সাধারণ সম্পাদক  মো. শাজাহান খান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. ইশতেহামুল হক চৌধুরী, এফবিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরী, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

শোকে স্তব্ধ সিরাজগঞ্জ : আমাদের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের সূর্যসন্তান মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জবাসী। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ শোকাহত। বেলা সোয়া ১১টায় তার মৃত্যুর সংবাদ শহরে ছড়িয়ে পড়লে চা-দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। প্রতিদিন উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা, কালো ব্যাজ ধারণ ও কোরআন খানির আয়োজন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস জানান, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন সিরাজগঞ্জবাসীর প্রাণ। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মতো নেতাকে হারিয়ে সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মোহাম্মদ নাসিমের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর