সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি

প্রতিনিধি ডেস্ক

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি  কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে গত ৯ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব হাসান মাহমুদের স্বাক্ষরে এক চিঠিতে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ‘অসাধু’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক মামলা থাকা এবং তাদের কালো তালিকা করতে দুদকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তারা হলেন- রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্বত্বাধিকারী রুবিনা খানম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবরক্ষক মো. আবজাল হোসেনের স্ত্রী। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা পাচার এবং ৩৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিল দুদক। এছাড়া মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড  মেসার্স এস কে ট্রেডার্সের মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু,  মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. আব্দুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশনের  মো. মোকছেদুল ইসলামকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির দায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করতে দুদক আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা সেটা অনুসন্ধান করে দেখব। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা এখনই বলতে পারব না।’ এ প্রসঙ্গে জানতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া  দেননি। অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাও কথা বলতে চাননি। গত ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে একটি চিঠি  দেয় দুদক। দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের স্বাক্ষরে ওই চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকেও দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর