মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চলে গেলেন জনতার মেয়র কামরান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

চলে গেলেন জনতার মেয়র কামরান

আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার পর এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র গণমানুষের নেতা বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। সোমবার ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন সিলেটের অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘জনতার মেয়র’-খ্যাত এই নেতা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোকে মোড়ানো সিলেটের আকাশ। গতকাল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নগরীর হজরত মানিকপীর (রহ.) মাজার কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনরা চোখের জলে দীর্ঘদিনের প্রিয় ‘মেয়র সাবকে’ শেষ বিদায় জানান। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুদফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী বদরউদ্দিন কামরানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীর নেতৃবৃন্দ। সিলেটে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত ৫ জুন করোনাক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন কামরান। পরদিন তাকে স্থানীয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কামরানকে ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুুল মোমেন। ৭ জুন সন্ধ্যায় বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। এতে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু সোমবার ভোর রাতে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনকে শোকে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কামরান।

কামরানের ভাই আহমদ ইসমত জানান, গতকাল সিএমএইচ থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে কামরানের মরদেহ সিলেটে নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ছড়ারপাড়ে নিজ বাসায় কিছু সময় রাখা হয় তার মরদেহ। জোহরের পর ছড়ারপাড় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তার মরদেহ নগরীর মানিকপীর টিলা কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছা অনুসারে মা-বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে। ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন কামরান।

সিলেটের রাজনীতির আকাশে কামরান ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে প্রথম দুই দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার বাসার দরজা ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। সিলেটে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল প্রচলিত কথা হচ্ছে, কামরানের দরজায় গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরেছেন-এটা অসম্ভব! কুলি থেকে দিনমজুর, ধোপা থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী- সবাইকে পরম মায়ায় বুকে টেনে নিতেন তিনি। সদা হাস্যোজ্জ্বল কামরানের মৃত্যুতে তাই কাঁদছে সিলেট। রবিবার দিবাগত শেষ রাত থেকেই নগরীর ছড়ারপাড়ে কামরানের বাসায় ভিড় করেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল থেকেই সেই ভিড় রূপ নেয় জনস্রোতে। জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা-সবাই ছুটে যান কামরানের বাসায়। কামরানের মরদেহ সিলেটে পৌঁছার পর নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজেদের প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে ঢল নামে জনতার।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে কামরানের জানাজার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর নেতা-কর্মীদের স্রোত তবু আটকানো যায়নি। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে ছড়ারপাড়ে প্রথম জানাজা এবং মানিকপীর কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।

কামরান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘তিনি ছিলেন তৃণমূলের নেতা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়েই ছিল তার রাজনীতি। জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে মিশতেন, সেভাবেই তিনি ধীরে ধীরে গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন।’

আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। কামরান যখন সিলেট নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, মিসবাহ তখন সাধারণ সম্পাদক। এই নেতা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দুঃসময়ে তিনি সবার আগে হাজির হতেন। সে কারণে মানুষের হৃদয়ে তিনি দ্রুত স্থান করে নিয়েছিলেন। পরপর দুবার সিটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। মানুষের যে ভালোবাসা তার জন্য ছিল, সেটা কখনো ফুরিয়ে যাবে না। তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

কামরানের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার : আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদের হাত ধরে রাজনীতিতে জড়িয়েছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ১৯৮৯ সালে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সম্পাদক হন তিনি। এরপর ২০০২ সালে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন কামরান। এ দায়িত্ব সামলে গেছেন গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হওয়া কামরান বর্তমান কমিটিতেও একই পদ পান। মৃত্যুবধি একই পদে ছিলেন তিনি।

১৯৭৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তৎকালীন সিলেট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন কামরান। ওই সময় তিনিই ছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি। ১৫ বছর তিনি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিদেশে চলে যান। বিদেশ থেকে ফিরে ১৯৯৫ সালে সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কামরান হন মেয়র। ২০০৭-০৮ সালে সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদফায় গ্রেফতার হয়ে ১৮ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই ২০০৮ সালে তিনি ফের মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় বিএনপির আরিফের কাছে হার মানেন কামরান। এ দুই দফায় দলীয় কোন্দলই তাকে পরাজিত করে বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে অভিযোগ উঠেছিল। অবশ্য জনপ্রতিনিধির পদ থেকে ছিটকে পড়া কামরান আগের মতোই ছিলেন মানুষের পাশে। ক্রীড়াপ্রেমী কামরান ছিলেন বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল দলের সমর্থক। বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই বাসায় সবাইকে নিয়ে খেলা দেখার আসর বসাতেন তিনি। কামরান ছিলেন শিশু-কিশোর সংগঠন ‘চাঁদের হাট’-এর সদস্য।

সিসিকের কর্মসূচি : কামরানের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে তার বাসায় ছুটে যান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি কিছু সময়ের জন্য কামরানের মরদেহ নগর ভবনে নেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে তার মরদেহ নেওয়া হয়নি। তবে কামরানের মৃত্যুতে সিসিকের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ছিল কালো পতাকা উত্তোলন ও কার্যক্রম বন্ধ রাখা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শোকসভার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলের শোক : সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে সিলেটের উন্নয়নে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যে অবদান রেখেছেন সে জন্য মানুষ তাকে সব সময় মনে রাখবে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারাল।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক বার্তায় বলেন, স্বীয় কর্মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা কামরান গণমানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এস এ মালেক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ।

আরও শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীররিক্রম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির ব্যারিস্টার আরশ আলী, ডা. শাহাদাৎ হোসেন, নুরুর রহমান সেলিম, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ইসলামিক গণতন্ত্রী পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল প্রমুখ।

এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহমেদ মন্নাফী, হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্মল রঞ্জন গুহ, আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগের সমীর চন্দ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের নাজমা আকতার, অপু উকিল, মহিলা লীগের সাফিয়া খাতুন, মাহমুদা বেগম ক্রিক, ছাত্রলীগের আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর