বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

১৮ কোটি মানুষের দেশে করোনাকালীন বাজেট মোটেও হয়নি

মাহমুদ আজহার

১৮ কোটি মানুষের দেশে করোনাকালীন বাজেট মোটেও হয়নি

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘১৮ কোটি মানুষের দেশে করোনাকালীন বাজেট দিতে পারেনি সরকার। প্রাণঘাতী করোনার ভয়াবহতা অনুধাবন করতেও ব্যর্থ ক্ষমতাসীনরা। এ বাজেট হয়েছে পুরোপুরি গতানুগতিক। জিডিপি বৃদ্ধি বা কিছু প্রকল্প বাড়ানোর চেষ্টামাত্র। এ বাজেটে পুরো জাতি হতাশ  হয়েছে। এ ছাড়া সারা বিশ্বে করোনাকালীন অর্থনৈতিক কাঠামোই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের বাজেটে পুরোপুরি অনুপস্থিত।’ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে কেমন বাজেট হলো- এমন প্রশ্নে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকা বাজেট বাড়িয়ে স্বাস্থ্য খাতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে পরিমাণ বাজেট বাড়ানো দরকার ছিল, তা মোটেও হয়নি। পাঁচ হাজার কোটি টাকা বাজেট বাড়ানো এটা গতানুগতিক। বিভিন্ন খাতে এমন বাজেট স্বাভাবিকভাবেই কমানো-বাড়ানো হয়।

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, সারা পৃথিবীতে এখন বাজেট হচ্ছে করোনা সামনে রেখে। সরকার পুরোপুরিভাবে করোনা পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে জনবল নিয়োগ, উন্নত মেশিনপত্র বা চিকিৎসাসামগ্রী এই বাজেট বরাদ্দে কেনা সম্ভব নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধু পাঁচ হাজার কোটি টাকার বাজেট কেউ প্রত্যাশা করে না। বড় প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সরকারের এবারের বাজেটে জীবন-জীবিকা পুরোটাই উপেক্ষিত। জীবন রক্ষার জন্য যা করার দরকার ছিল তা না করে গতানুগতিক জিডিপি বৃদ্ধি, বড় বড় প্রকল্প করার ব্যাপারে বেশি মনযোগী হয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে পুরোপুরি অবহেলা করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে করোনা পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে বাজেটে। বোঝা গেল আমাদের স্বাস্থ্য খাত কী পরিমাণ ভঙ্গুর, বিপর্যস্ত ও দুর্বল। এটা কাটাতে সংস্কারের কোনো রূপরেখা বাজেটে নেই। এবার বাজেট অনেক বেশি বৃদ্ধি করা উচিত ছিল। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের সংস্কার আনা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি হতাশ।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘আর পাঁচ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিলেও তা সরঞ্জাম কেনার কমিশনেই চলে যাবে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, কিটসহ নানা সামগ্রী, ট্রেনিংসহ নানা সংস্কারে এই পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমিশন খেতে খেতেই চলে যাবে। অনেক বেশি বাজেট দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের দাবি ছিল, জিডিপির ৫ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে বাড়াতে হবে। কিন্তু সরকার তা শোনেনি।’

সর্বশেষ খবর