ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রেড জোনের মধ্যে কোন গলি বা কোন মহল্লায় করোনা সংক্রমণ বেশি সেটা সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করে তালিকা দিলে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন কার্যকর করা হবে। গতকাল বিকালে ডিএসসিসির নগর ভবনে লকডাউন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে বৈঠক শেষে মেয়র এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে দুই-একদিনের মধ্যে আমাদের সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং দেবে। তারা যে এলাকা লাল জোন চিহ্নিত করে দেবে সেখানে লকডাউন করা হবে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন তথা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, আইইডিসিআরের পরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে রেড জোন-সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। মেয়র বলেন, লকডাউন করার কারণ সংক্রমণটা এমনভাবে বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কা করা হচ্ছে এটা আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে। সেজন্য যে এলাকায় লাল হিসেবে চিহ্নিত করা হবে সেখানে আমরা লকডাউন কার্যকর করব। সংক্রমণ রোধ করতে এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মেয়র বলেন, এটা খুবই সংক্রামক ব্যাধি।
সংক্রমণটা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা নির্মূল করার বড় অস্ত্র হলো সামাজিক দূরত্ব এবং কন্টেইনমেন্ট করা। তিনি বলেন, বেইজিংয়ে ফের নতুন সংক্রমিত হয়েছে। তাই সেখানে সেনাবাহিনী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করছে তবে আমরা এত কঠোর হব না। মানুষকে যতটা সহনশীল রেখে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটিই করব। তিনি বলেন, এখানে অনেক বিষয় রয়েছে যারা সংক্রমিত তাদের পরীক্ষা, যারা সংক্রমিত না তাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা, খাবার, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাপস বলেন, আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। সেজন্য আমরা কাজ হাতে নিয়েছি আশা করি আগামী মাস থেকে ঢাকাবাসী উপলব্ধি করতে পারবে।
