বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
এ বি এম আবদুল্লাহ বললেন

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না এ ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, ডেক্সামেথাসন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তবে এটি নতুন নয়। গুরুতর ক্ষেত্রে যেমন, মানুষ অজ্ঞান হয়ে গেলে, প্রেসার কমে গেলেও এটি ব্যবহার করা হয়। তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে, সিরিয়াস অ্যালার্জির চিকিৎসায় এর ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এ ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, মহামারী কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রথম জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আখ্যা দিয়ে ডেক্সামেথাসন নিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ডেক্সামেথাসন নতুন কোনো ওষুধ নয়। ৪০-৫০ বছর ধরে ডেক্সামেথাসনের ব্যবহার চলে আসছে। ডেক্সামেথাসন মূলত স্টেরয়েড। অনেক রোগীর চিকিৎসায় আমরাও ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করেছি। ডেক্সামেথাসন যেহেতু একটি স্টেরয়েড, তাই এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ডেক্সামেথাসন অনেক দিন ধরে ব্যবহার করলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ডায়াবেটিস হতে পারে, হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে এমনকি ফ্র্যাকচার হয়ে যেতে পারে। পেটে আলসার হতে পারে, রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। ডেক্সামেথাসন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ডেক্সামেথাসনের অপরিকল্পিত ব্যবহারে অন্য কোনো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।’ ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘ডেক্সামেথাসনের মারাত্মক কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে শুরুতেই ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করা যাবে না। কেউ যেন নিজের ইচ্ছেমতো দোকান থেকে কিনে ডেক্সামেথাসন ব্যবহার না করেন। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করা যাবে না। ফার্মাসির ওষুধ বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কোনো ক্রমেই যেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ ওষুধ বিক্রি করা না হয়। কারণ তাতে উপকারের চেয়ে অপকারের শঙ্কা অনেক বেশি।’

সর্বশেষ খবর