শনিবার, ২০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কিট দ্রুত পরীক্ষা করে দিক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিট দ্রুত পরীক্ষা করে দিক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

অ্যান্টিজেন কিট দ্রুত পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের কিটের কার্যকারিতা কতটুকু তা বৈজ্ঞানিক আলোচনার বিষয়। কিটের উন্নয়নের বিষয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই এ বিষয়ে আমরা বিএসএমএমইউয়ের ক্রমাগত সহযোগিতা চেয়েছি। তারা  আমাদের অ্যান্টিজেন কিটটি দ্রুত পরীক্ষা করে দিক। আর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যেটা বলেছে, সেটাই হোক ভিত্তি। সতর্ক থাকতে হবে, লাল ফিতা যাতে ক্ষণকাল হরণ করতে না পারে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকী চলছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামকরণ এবং স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। আবার বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিএসএমএমইউয়ের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন। আমরা ওই কারিগরি কমিটি কর্তৃক গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিটের সুপারিশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করি, ওষুধ প্রশাসন জরুরিভাবে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে এবং অতি দ্রুত নিবন্ধন ও বিপণনের অনুমতি দেবে। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য ও বিএসএমএমইউ যৌথভাবে জাতির এক মহাদুর্যোগের দিনে ১৭ কোটি মানুষের জীবনে সরাসরি একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। সবাই অভিনন্দন প্রাপ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই একটা আশা নিয়ে কতগুলো বিশেষ ব্যবস্থা গণস্বাস্থ্যের জন্য নিয়ে দিয়েছেন, সেটাও ফলপ্রসূ হয়েছে। গণমাধ্যমে দেখেছি, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন পেলে তিনি নিবন্ধন দেবেন এমনকি বিশেষজ্ঞ কমিটিতেও পাঠাবেন না। এটাই যৌক্তিক। আমরা এখন ওষুধ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। এদিকে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে  ফোনালাপে তিনি বলেন, আগের চেয়ে এখন তিনি অনেক ভালো আছেন। তবে গলা ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হয়। এটা বড় কোনো সমস্যাও নয়। এবারের বাজেট নিয়ে আমার অত্যন্ত জরুরি কথা আছে। আমি পুরো বাজেটটি পড়ে ফেলেছি। এই করোনা মহামারীকালে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেই বাজেটে সাধারণ জনমানুষের কথা একেবারেই ভাবা হয়নি। সেই বিষয়ে আমি কথা বলব, লিখব। এটা আমাকে লিখতেই হবে, বলতেই হবে। আমি লিখছি। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমার প্রতি আমাদের প্রতি যে ভালোবাসা  দেখালেন, যে দোয়া-প্রার্থনা করলেন, তার তো  কোনো তুলনা হয় না। এই ঋণ আমি কোনোদিন  কোনোকিছু দিয়ে শোধ করতে পারব না।

সর্বশেষ খবর