বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার জনগণের সঙ্গে ধাপ্পাবাজি করে আসছে, তা স্বাস্থ্য খাতের দুর্দশার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা আর দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিলে তাকে তাড়াহুড়ো করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করার কারণে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিএনপি ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানির অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, করোনার প্রকোপের মধ্যে সরকার দুর্নীতির সংবাদ আড়াল করার জন্য প্রতিদিনিই গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করছে। বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপর তাদের প্রণীত সব কালাকানুন প্রয়োগ করছে। কী ভয়াবহ বিপজ্জনক পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়েছে যে, মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। কালাকানুন করে মানুষের সত্য প্রকাশের কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছে সরকার। এই অবস্থার বিরুদ্ধে জনগনের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সরকারের চরম পরিণতি ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। করোনা টেস্টের রিপোর্টেও বিলম্বের অভিযোগ করে রিজভী বলেন, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। ল্যাবরেটরিতে নমুনার স্তূপ জমা পড়ে আছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৭টি জেলাতেই আইসিইউ নেই। করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বাস্থ্য খাতের বিপন্ন ও ভঙ্গুর ছবি প্রকাশ হয়ে পড়েছে।