সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কী হবে উপনির্বাচনের

পাঁচ আসন শূন্য

গোলাম রাব্বানী

কী হবে উপনির্বাচনের

জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ঢাকা-৫, পাবনা-৪, বগুড়া-১, যশোর-৬ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের (পাঁচটি আসন) উপনির্বাচন নিয়ে ভাবনায় পড়েছে নির্বাচন কমিশন। আসন শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যকতা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত হচ্ছে না এসব নির্বাচনের তারিখ। এমনকি কয়েকটি আসনের এই নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়েছে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েছেন। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এর মধ্যেও ভোট করতে না পারলে এসব নির্বাচন নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা নিতে হবে ইসিকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল একজন নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এসব নির্বাচন করার জন্য ৯০ দিন সময় ছিল, সেই সময় পার হয়েছে। এখন করোনাভাইরাস মহামারী চলছে; এটা দুর্যোগ। সংবিধান ও নির্বাচনী আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আরও ৯০ দিন সময় দিয়েছে ভোটের জন্য। সুতরাং, কোনো তাড়া নেই আমাদের। তিনি বলেন, ইসির হাতে থাকা ৯০ দিনেও যদি নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, পরে রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠাবেন। ইসির কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ গত ১৭ জুন শূন্য ঘোষণা করা হয় সিরাজগঞ্জ-১ আসন। ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয় গত ৭ মে। পাবনা-৪ শূন্য হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। ১৮ জানুয়ারি শূন্য হয় বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি শূন্য হয় যশোর-৬ আসনটি। তবে গত ২৯ মার্চ বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তাও স্থগিত করে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দ্রুত ইসিকে ব্যাখ্যা চাইতে হবে।

ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ নিয়ে ইসির নির্দেশনা

গত ২ জুন পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ সচিবালয় হতে গত ১২ এপ্রিল জারিকৃত ও একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনটি শূন্য হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩-এর দফা (৪) অনুযায়ী উক্ত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩-এর দফা (৪)-এর শর্তানুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদ, অর্থাৎ সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এ অবস্থায়, পাবনা-৪ শূন্য আসনের নির্বাচন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময়সূচি পরবর্তী সময় ঘোষণা করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এক্ষেত্রে ৩০ জুন থেকে পরবর্তী ৯০ দিন যোগ করলে সময়সীমা দাঁড়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর। গত ১৬ জুন ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ সচিবালয় হতে গত ৭ মে জারিকৃত ও একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ৬ মে আসনটি শূন্য হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩-এর দফা (৪) অনুযায়ী উক্ত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য ৩ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩-এর দফা (৪)-এর শর্তানুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদ, অর্থাৎ সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এ অবস্থায়, ঢাকা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময়সূচি পরবর্তী সময়ে ঘোষণা করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এক্ষেত্রে ৩ আগস্ট থেকে পরবর্তী ৯০ দিন যোগ করলে সময়সীমা দাঁড়ায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা না গেলে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে ইসিকে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর