বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় পুরুষরাই আক্রান্ত বেশি

প্রাণ গেল আরও ৪৩ জনের নতুন শনাক্ত ৩৪১২

বিশেষ প্রতিনিধি

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ধূমপান ও অ্যালকোহল পানের কারণে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে পুরুষরাই আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি এবং যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা গুরুতর এবং তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সায়েন্স ডিরেক্ট ডটকমের গ্লোবাল হেলথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরুষদের আক্রান্ত হওয়া, গুরুতর হওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণগুলো হলো-পুরুষরা আগে থেকেই অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন বেশি।আগে থেকেই পেশাগত কারণে নানা ঝুঁকিতে থাকেন। তারা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকেন। তাই তারা আক্রান্ত বেশি হন। নতুন এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস নারীদের তুলনায় পুরুষদের জন্য বেশি ভয়ঙ্কর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এক দশমিক সাত শতাংশ নারী এবং দুই দশমিক আট শতাংশ পুরুষ মারা যেতে পারে। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, করোনায় নারীদের তুলনায় পুরুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি এই শিরোনামের টেলিগ্রাফ প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, যারা নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে চার দশমিক সাত শতাংশ পুরুষের জন্য ভাইরাসটি ভয়ঙ্কর। সেই তুলনায় এটি ভয়ঙ্কর দুই দশমিক আট শতাংশ নারীর জন্য। বিশেষজ্ঞদের কারও কারও মতে, পুরুষের মধ্যে ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণের হার বেশি বলে এমনটি হতে পারে। আবার কারও কারও মতে, পুরুষের মধ্যে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের হার বেশি হওয়ায় তারা নারীর তুলনায় বেশি করোনা ঝুঁকিতে আছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি ধূমপান করা ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ধূমপান ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে জিনগতভাবে নারীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ডাবল এক্স ক্রোমোজমের জন্য নারীরা এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

প্রাণ গেল আরও ৪৩ জনের, নতুন শনাক্ত ৩৪১২ : দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মারাত্মক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আরও ৪৩ জনের। এই নিয়ে ভাইরাসটি মোট এক হাজার ৫৪৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিল। একই সময়ে সারা দেশে এই রোগে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪১২ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক হাজার ৫৪৫ জন। শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন।

গতকাল করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন যুক্ত তিনটিসহ মোট ৬৫টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২৯২টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ৪৪ হাজার ১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৩০ শতাংশ। তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১২ জন বাড়িতে মারা যান, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাদের ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ছয় জন রাজশাহী বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের, একজন বরিশাল বিভাগের, একজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এই ৪৩ জনের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এ ছাড়া পাঁচ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ছয় জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। সারা দেশের কোথায় কোথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নতুন রোগী শনাক্ত হলেন এবং তার সবশেষ খবর জানিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা- দিনাজপুর : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরে তিনজন, বিরামপুরে পাঁচজন এবং ঘোড়াঘাটে একজন রয়েছেন। এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩৬২ জন, নারী ১২৭ জন ও শিশু ২৭ জন রয়েছে।

বর্তমানে ২৪২ জন হোম আইসোলেশনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ১০ জন, হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪৩ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল কুদ্দুছ।

কুমিল্লা : কুমিল্লা নগরীতে ৪৫ জনসহ নতুন করে মঙ্গলবার জেলায় ৮১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কুমিল্লা জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় করোনায় ২৪১ জন সুস্থসহ এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ সময়ে দুইজনসহ মোট ৮৫জন মারা গেছেন। কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার  আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা নগরীতে ৪৫ জন, চৌদ্দগ্রামে ১২জন, বুড়িচং চারজন, দেবিদ্বারে নয়জন, সদর দক্ষিণে তিনজন, নাঙ্গলকোটে পাঁচজন, লাকসাম, চান্দিনা ও মনোহরগঞ্জে একজন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীসহ পুরো জেলা থেকে ১৭ হাজার ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ১৫ হাজার ৪১২ জনের। মঙ্গলবার চান্দিনায় ১১৩ জন, বুড়িচংয়ে চারজন, চৌদ্দগ্রামে ৯৪ জন, মেঘনায় ১৪ জন, দেবিদ্বারে সাতজন, সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোটে দুইজন করে ও মনোহরগঞ্জে পাঁচজনসহ ২৪১জন সুস্থ হয়েছেন। এ দিন দেবিদ্বার ও চৌদ্দগ্রামে দুইজন মারা গেছেন।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার চট্টগ্রামের পাঁচটি ল্যাবে মোট ৯২৬টি নমুনা পরীক্ষায় এ ফল আসে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মোট শনাক্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৬৭০১ জন। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৫ জন। এই নিয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও চারজন, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৪৮ জন।

শেরপুর : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ নতুন করে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮ জনে দাঁড়াল। সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা শেষে ওই সাতজনের করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত তিন হাজার ২৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে তিন হাজার ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ২১৮ জনের আক্রান্তের বিষয়ে জানা গেছে। সুস্থ হয়েছেন ১২৫ জন এবং মারা গেছেন তিনজন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে আরও ২০৭টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা পড়ে আছে।

ময়মনসিংহ : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত পন চন্দ্র (৫৫) নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি গফরগাঁও পৌর শহরে। পন চন্দ্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হলো।

এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগে নতুন করে ১০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়াল। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৭২ জন, জামালপুরে ২৩, শেরপুরে সাত ও নেত্রকোনায় তিনজন রয়েছেন। বিভাগের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মোট সংখ্যা এক হাজার ৪৭১। এ ছাড়া জামালপুরে ৫০৩ জন, নেত্রকোনায় ৩৮৪ ও শেরপুরে ২১৮ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগে মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৭৬ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯৪২ জন।

বগুড়া : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১৩৬ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দুই হাজার ৩৩০। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬ জনে। গতকাল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে বগুড়া জেলা শহরের ৮৩ জন, শাজাহানপুর উপজেলার ১৪, শিবগঞ্জের ১২, শেরপুরের আট, কাহালুর আট, সারিয়াকান্দির চার, সোনাতলার দুই, গাবতলীর দুই, নন্দীগ্রামের দুই ও ধুনট উপজেলার একজন রয়েছেন। আর ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৬। সুস্থ হয়েছেন ২৫০ জন।

সিলেট : বিভাগে আরও ১৭৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ৪৪৪ জন। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে নতুন করে সিলেট জেলার ৬৩ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে সুনামগঞ্জের ২৮, ঢাকার ল্যাব থেকে হবিগঞ্জের ৪০ ও মৌলভীবাজার জেলার ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পটুয়াখালী : জেলায় দুই শিশুসহ নতুন করে ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫০। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। একজনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলা শহরে, অপরজনের গলাচিপা উপজেলায়। এ ছাড়া অন্য চারজনের মধ্যে একজন গলাচিপার, একজন বাউফলের এবং দুজন পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা। নতুন শনাক্ত ছয়জনসহ জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ জন।

মাগুরা : জেলায় নতুন করে আরও আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনই পৌর এলাকার বাসিন্দা। বাকি তিনজনের বাড়ি মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৭২।

সাতক্ষীরা : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন স্কুলছাত্রসহ নতুন করে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১০৫ জনের করোনাভাইরাস টেস্ট রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এলো। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে গতকাল পাঠানো টেস্ট রিপোর্টের মধ্যে ওই পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৯৮ জনের প্রতিবেদন এসেছে। তার মধ্যে ১০৫ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর