বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অনলাইন আলোচনায় রিভা

আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে শুল্ক কমানোর চিন্তা ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে শুল্ক কমানোর চিন্তা ভারতের

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, দুই দেশ পণ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কতটুকু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা যাচাই করার জন্যই ভারতীয় রেলওয়ে ও বাংলাদেশ রেলওয়ে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভারত আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে যাত্রী ও বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে চিন্তা করছে। এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ভারত সরকারকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট : স্টেকহোল্ডার্স ইন্টের‌্যাকশন’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে এ সব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য উল্লেখ করেছে এফবিসিসিআই। সোমবার অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসি)-সেক্রেটারি জেনারেল দিলীপ চেনয়, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মানিষ সিংহল, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার প্রেসিডেন্ট (গ্রুপ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) মনোজ চোগ, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং গ্রুপ এসবিআইর ডিএমডি ভেঙ্কট নাগেশ্বর সি, সিএনএইচ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক (ইন্টারন্যাশনাল) অশোক অনন্তরামন প্রমুখ। ওই অনলাইন আলোচনায় এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনা সংকটে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি উভয় দেশের কল্যাণ নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায়। এই সংকটের সময়ে এসে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় নয় বিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। কভিড-১৯ বাস্তবতার কারণে, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যৌথ বিনিয়োগ, যেসব পণ্য ও সেবার কাঁচামাল ভারত থেকে এসে বাংলাদেশে পণ্য প্রস্তুত হয়ে পুনরায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে সেসব পণ্য ও সেবার ভ্যাল্যু চেইনেরই একটি অংশ। যার ফলে যৌথ বিনিয়োগের কৌশলটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কেনাকাটা সহজ করতে ভারতীয় ব্যাংকসমূহ থেকে বিলম্বিত এলসি প্রদানের সুবিধা বিলের দিন থেকে আরও ২৪০ দিন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।

মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার প্রেসিডেন্ট (গ্রুপ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) মনোজ চোগ বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্ক থাকার কারণে বিশেষ করে যাত্রী এবং বাণিজ্যিক যানবাহনগুলোর ক্ষেত্রে দুদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে বাংলাদেশের বাজারে এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে যথাযথ রিটেইল ফাইন্যান্স কার্যকর করা দরকার।

সর্বশেষ খবর