বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
খুলনা

বেড়েছে অপারেশন ব্যয় ওষুধের দাম

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় করোনা উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত সিভো, ফিক্সো, ডক্সিক্যাপসহ সব ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেসরকারি ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপারেশন ব্যয়ও বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

জানা গেছে, খুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে এখনো করোনার নমুনা পরীক্ষা বা চিকিৎসা শুরু হয়নি। চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দেওয়ায় অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তিও প্রায় বন্ধ রয়েছে। ঝামেলা এড়াতে এরই মধ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি আইসিইউ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র ব্যয়বহুল গাজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনের আইসিইউ ভাড়া ১৬ হাজার ৫৬০ টাকা। এখানে প্রতি ঘণ্টা ৬৯০ টাকা হিসাবে বিল করা হয়। যে কটি বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন চালু আছে, সেখানে নানা সংকটের কথা জানিয়ে রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি অপারেশনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। নগরীর শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, খুলনায় করোনা উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশিতে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিবায়োটিকের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। ‘ওষুধের সরবরাহ নাই’ জানিয়ে ফার্মেসিগুলোয় দাম বেশি রাখা হচ্ছে। রোগীর সিটি স্ক্যানসহ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও ব্যয় বেড়েছে। উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে নিঃস্ব হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং না থাকায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর চিকিৎসাব্যবস্থা এখন বিক্রয়যোগ্য পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ, খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, এর পেছনে বাণিজ্যিক মানসিকতা কাজ করছে। বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকের চিত্রটা আরও ভয়াবহ। চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দেওয়ায় করোনা আক্রান্ত না হয়েও অসংখ্য রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর