বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আছি বলেই সুদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথেই দেশ পরিচালনা করছেন। আর এ জন্যই আমরা সেই সুদিন আবার দেখতে পাচ্ছি। আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত ‘গণমানুষের পাশে আওয়ামী লীগের ৭১ বছর’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

তারা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই অল্প সময়ে তিনি যত কাজ করে গেছেন এবং কাজের যে ধারা রচনা করে গেছেন তা বাংলাদেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে নিয়েছে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে আরেকটি দেশ। সেই দেশের নাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সাধারণ মানুষ, দলের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তিনি জীবনের ১৪টি বছর জেলে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দিলেন তখন সারা বাংলার মানুষ একে মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। যখন বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠন করতে দিল না তখন স্বাধীনতার ডাক দেওয়া ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আর কোনো উপায় ছিল না। প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু যদিও সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি যত কাজ করে গেছেন এবং কাজের যে ধারাটা রচনা করে গেছেন তা বাংলাদেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে নিয়েছে। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশকে একটি অনগ্রসর জাতিতে পরিণত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট যখন সাবমেরিন কেবল সংযোগের অনুমতি দিল না তখন আমরা অনেক পিছিয়ে পড়লাম। পরবর্তীতে যখন মোবাইলসেবা এলো বিএনপি আমলে, তখন একটা মোবাইল সংযোগ নিতে খরচ পড়ত দেড় লাখ টাকা। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ব্যয়বহুল সংযোগ নেওয়া সম্ভব ছিল না। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় এলো তখন দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হলো। এটাই হচ্ছে মানুষকে সেবা করার সদিচ্ছা। অজয় দাশগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ টিকবে না বলা হলেও সে দেশকে তিন বছরে পুনঃগঠন করেন বঙ্গবন্ধু।

সর্বশেষ খবর